কুইটো: বিনা বিচারে বন্দির সংখ্যা চিন্তায় ফেলছে ইকুয়েডর প্রশাসনকে। যার ফলে জেলে হিংসা বাড়ছে। প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ইকুয়েডরে (Ecuador) ছয় ভাগের এক ভাগ বন্দি বিনাবিচারে। দীর্ঘ দিন ধরে তারা জেলে বন্দি। সোমবার একটি জনগণনার (Census) সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো (President Guillermo Lasso) বিচার ব্যবস্থাকে (Judicial system) অনুরোধ করেছেন, দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার জন্য। যাতে জেলে ভিড় কমে।
লাসো এবছরের শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে জেলে রয়েছেন ৩১ হাজার ৩২১ জন। সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার হয়েছে মাদক পাচার (Drug Trafficking) করার জন্য। তাছাড়া ডাকাতি ও খুনের ঘটনা রয়েছে। ৩০ হাজার ১৩৪ আসামির ক্ষমতা রয়েছে জেলে। জুন মাসে ১২.৯ শতাংশ বেশি বন্দি রয়েছে জেলে। তবে জেলে বেশি বন্দি থাকা নিয়ে এর বেশি তথ্য দেয়নি প্রশাসন। ইকুয়েডরের জেলে কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যায় ভুগছে ইকুয়েডর। কিন্তু জেলের মধ্যে মারামারির ঘটনাও বৃদ্ধি পয়েছে। যে ঘটনায় ২০২০ সালে ৪০০-র বেশি কয়েদির মৃত্যু হয়। মোট বন্দির ১৬ শতাংশ প্রায় ৫০০০ জন বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের সাজা ঘোষণা হয়নি।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | নিরাপত্তার অভাবে গণনা কেন্দ্র থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিল সিপিএম
লাসো বলেন, বেশি বন্দিকে জেলে রাখা আমাদের নীতি নয়। আমাদের নীতি হচ্ছে যারা সাজা খেটে ফেলেছে তাদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া। ইন্টার আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (Inter-American Commission on Human Rights) বলেছে, জেলে হিংসার অন্যতম কারণ অনেক বেশি সংখ্যক বন্দি থাকা। বন্দিরা প্রায়ই জেলে তাদের প্রয়োজনীয় অধিকার বজায় রাখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলে। খাবারের জোগান নিয়ে তাদের অভিযোগ।