প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের মুখ দেখল ইস্ট বেঙ্গল। প্রথম ম্যাচে রেনবোর কাছে আটকে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ৪-২ গোলে হারাল ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশকে। সোমবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে লাল হলুদের হয়ে গোলগুলি করেছেন সার্থক গোলুই, দীপ সাহা, অভিষেক কুঞ্জম। বাকি গোলটি আত্মঘাতী।
জয়ের লক্ষ্যে এদিন পাঁচটি পরিবর্তন করেছিলেন কোচ বিনো জর্জ। আদিত্য পাত্র, অতুল উন্নিকৃষ্ণণ, তুহিন দাস, তন্ময় ঘোষ এবং সঞ্জীব সরকারের জায়গায় প্রথম একাদশে আসেন নিশাদ, বুনান্দো, নিরঞ্জন, দীপ এবং আমন। তবে পাঁচটি বদল করেও লাল হলুদের খেলায় ঝাঁজ ফেরাতে পারেননি বিনো। শুরুর দিকে ইস্ট বেঙ্গলের খেলা একেবারেই ভাল হয়নি। গোটা দলকেই দিশেহারা লাগছিল। না ছিল বলের নিয়ন্ত্রণ, না গোলের জন্য খিদে। তা সত্ত্বেও ১৭ মিনিটে বিপক্ষের ভুলে এগিয়ে যায় ইস্ট বেঙ্গল। ফাঁকা গোলে শট নিয়েছিলেন ইস্ট বেঙ্গলের এক ফুটবলার। সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পুলিশের তপেন্দু ঘোষের পায়ে লেগে বল গোলে ঢোকে। ছয় মিনিট পরেই পেনাল্টি পায় ইস্ট বেঙ্গল। এবার বুনান্দোকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হয়। পেনাল্টি থেকে সার্থকের শট বিপক্ষ গোলকিপার তনবীর বাঁচিয়ে দিলেও, ফিরতি বলে গোল করেন সার্থক। আশেপাশের কোনও পুলিশ ফুটবলার তাঁকে আটকাতে পারেননি।
৩৩ মিনিটে ব্যবধান কমায় পুলিশ। সেটাও পেনাল্টি থেকেই। ইস্ট বেঙ্গলের শুভান্দু মান্ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করেন রতন মান্ডিকে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন সুব্রত বিশ্বাস। বিরতির আগে ইস্ট বেঙ্গলের লিজোর শট তনবীর না বাঁচালে ৩-১ এগিয়ে যেতে পারত ইস্ট বেঙ্গল। বিরতির পরেই সমতা ফেরায় পুলিশ। অনুপম দত্ত ফ্রি কিক নিয়েছিলেন। তা ক্রস বারে লেগে ফিরে এলে গোল করেন রাজীব দত্ত। ম্যাচ ২-২ হয়ে যাওয়ায় লাল হলুদ গ্যালারি তেতে যায়। আবার একটা ম্যাচ ড্র হবে ধরে নিয়ে তারা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এই বার ম্যাচ জেতার তাগিদে ইস্ট বেঙ্গল একটু চেগে যায়। ৬৮ মিনিটে ইস্ট বেঙ্গল একটি পেনাল্টি পায়। যদিও রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন পুলিশের ফুটবলাররা। তাদের দাবি ছিল, ফাউল বক্সের বাইরে হয়েছে। রেফারি অবশ্য কর্ণপাত করেননি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন দীপ সাহা। চার মিনিট পরে পুলিশের ফুটবলারদের ভুল বোঝাবুঝিতে গোল করে ইস্ট বেঙ্গল। সুব্রত এবং তনবীরের ভুল বোঝাবুঝির কারণে গোল হয়। সুব্রত ব্যাক পাস করলেও তনবীর বোঝেননি। অভিষেক ফাঁক পেয়ে গোল করে যান।