কলকাতা: দত্তপুকুরের (Duttapukur) নীলগঞ্জের বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Blast) প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। সেই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনীতির পারদ চড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এগরায় বিস্ফোরণের পর বাজি নিয়ে রাজ্যে উদ্যোগের পরেও কেন এই ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই আবহে রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ঘুরে দেখলেন ঘটনাস্থল।
রবিবার ১২ টার উড়ানে মাটিগোড়ায় মৃত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে উত্তরবঙ্গ যান রাজ্যপাল। সেখান থেকেই বারাসতের বাজি কারখানার বিস্ফোরণের খবর পান। সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরেই তিনি সোজা চলে যান দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজ্যপাল বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেল। আমি এখান থেকে হাসপাতালে যাব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তারপর বলব।” তিনি আরও বলেন, “অ্যাক্সিডেন্ট ইজ নট অ্যাক্সিডেন্টাল, সত্য খুঁজে বার করবে পুলিশ।” এরপরই বারাসত জেলা হাসপাতালে পৌঁছন তিনি। কথাও বলেন আহতদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন:কন্যার জীবন ছাড়া কন্যাশ্রী হতে পারে না, জানালেন রাজ্যপাল
এদিকে রাজ্যপাল যখন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন, গ্রামেরই একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরেন। উগরে দেন একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে, অভিযোগ তা কেয়ামত আলি নামে এক ব্যক্তির। এলাকার মহিলাদের দাবি, শুধু কেয়ামত আলির কারখানা নয়, গ্রামজুড়ে এরকম একাধিক বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। অভিযোগ, বাজির গোডাউন রয়েছে এবং কার্যত প্রাণ হাতে করে বাস করছেন এলাকার লোকজন। বাজির ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত নন, তাঁরাও এ গ্রামে নিরাপদ নন বলে দাবি করেন মহিলারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা অনুরোধ করেন, রাজ্যপাল যেন একবার এরকমই একটি গোডাউন বা বেআইনি বাজির গুদাম ঘুরে দেখেন। এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে এক প্রকার জোর করে একটি বাজির গোডাউন নিয়ে যান স্থানীয়রা। গ্রামবাসীরা একটি বাড়ি দেখিয়ে তা বাজির গুদাম বলে অভিযোগ করেন। রাজ্যপাল সেই বাড়ির সামনে আসেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন। রাজ্যপাল আশ্বাস দেন, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার উদ্যোগ নেবেন তিনি।