কলকাতা: মা আসছে, এই শব্দটাই যেন মন ভালো করে দেওয়ার যাদুকাঠি। কারণ, প্রত্যেক বাঙালি গোটা বছর অপেক্ষা করে থাকেন মা দুর্গার (Maa Durga) আগমনের জন্য। এদিকে, শ্রাবণ শেষ হতেই দরজায় এসে হাজির শরৎ। পেঁজা তুলোর মতো মেঘ, কাশ ফুল আর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি জানান দিচ্ছে উমা বরণের সময় এগিয়ে আসছে। মা আসতে আর বাকি ৫০ দিন। আর সেই কারণে কুমোরটুলি থেকে মুদিয়ালি, শোভাবাজার থেকে বাগবাজার, প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রতিমা শিল্পীদের এখন নিঃশ্বাস নেওয়ার জো নেই। তবে, বাধ সাধছে বৃষ্টি। কেননা, আকাশে গনগনে রোদ থাকলেও মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে মৃৎশিল্পীরাও প্লাস্টিকের আড়ালে দিনরাত এক করে খেটে চলেছেন।
এদিকে, কুমোরপাড়ায় এখন পুজো কর্তাদের আনাগোনা লেগেই আছে। কেউ আসছেন বায়না দিতে। কেউ আবার প্রতিমা তৈরির কাজ কতটা এগিয়েছে তা দেখতে। থিমের লুকোচুরি এখনও অব্যাহত। সাবেকি প্রথার ডাকের সাজ থেকে হাল আমলের থিমের পুজো, খামতি নেই কোনও কিছুর। খামতি নেই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার। ইতিমধ্যে, টিজার যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাক লাগিয়ে দেবার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। অন্যদিকে, বিদেশেও এবার থিমের প্রতিমার চাহিদা অনেক।
আরও পড়ুন:Jawan | The Trailer | দর্শকদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে মুক্তির সাতদিন আগে প্রকাশ্যে এল ‘জওয়ান’-এর ট্রেলার
পাড়ায় পাড়ায় খুঁটি পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। রথযাত্রার দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় বাঙালির প্রাণের উত্সব দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। প্রথা মেনে রথের দিনে খুঁটি পুজো করে থাকেন অনেক পুজোর উদ্যোক্তারা। অনেক জায়গায় আবার এদিন থেকেই শুরু হয় প্রতিমার কাঠামোয় মাটি লেপার কাজ। তাই রথের চাকা গড়ালেই বাঙালির মনেও বেজে ওঠে উত্সবের বাদ্যি। যে কোনও একটা ছুটির ছুতোয় কয়েকটা ঢাক বাজিয়ে খুঁটিতে মালা পরিয়ে, সবাই মিলে সেজেগুজে ছবি তোলা, আর খাওয়া।