দুর্গাপুর: রেশন দোকানের সামনে দীর্ঘক্ষণ লাইন দেওয়ার দিন ফুরল৷ আজ বুধবার থেকে দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় চালু হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প৷ ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে রেশন পেয়ে ভীষণ খুশি স্থানীয়রা৷ বিশেষ করে এলাকার বয়স্করা৷ হাসি মুখে তাঁরা জানিয়েছেন, পা ব্যথা নিয়ে সকাল থেকে দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়াতে কষ্ট হত৷ আজ থেকে দরজা খুললেই দুয়ারে রেশন৷
আরও পড়ুন: খুলতে গিয়েই বিপত্তি! ৮০০ স্কুলে নেই বিদ্যুৎ, বাকি কোটি কোটি টাকা
এদিন দুর্গাপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেশন বিলি করেন ডিলাররা৷ উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর সুনীল চট্টোপাধ্যায়৷ এলাকার মানুষ যাতে ঠিকমত রেশন পাচ্ছেন কিনা তা তদারকির জন্য তিনি এসেছিলেন৷ যাচাই করে নিচ্ছিলেন রেশন সামগ্রীর গুণমান৷ সুনীলবাবু জানান, সগরভাঙা কলোনির দুটো জায়গায় মোট ৭০টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়৷ দেওয়া হয় চাল, গম ইত্যাদি খাদ্যশস্য৷ রেশন সামগ্রী পেতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেটাও তাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেন৷
দুর্গাপুরে চালু হল দুয়ারে রেশন৷ বুধবার৷ নিজস্ব ছবি৷
রাজ্য সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি৷ এদিনও রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ডিলারদের ভয় দেখিয়ে, চমকে বেশিদিন চালানো যায় না৷ দিল্লিতে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷’ কিন্তু দিলীপ ঘোষ কি বললেন তাতে যায় আসে না সাধারণ মানুষের৷ বাড়ির সামনে রেশন সামগ্রী পেয়ে খুশিতে ডগমগ তাঁরা৷ গৃহবধূ সুমন কুমারী ঠাকুরের কথায়, ‘আগের মত লাইনে দাঁড়াতে হবে না৷ কষ্ট কম হবে৷ এতদিন রেশন সামগ্রী নিয়ে রিক্সা করে বাড়ি ফিরতে হত৷ এখন রিক্সা ভাড়া বেঁচে যাবে৷’ একই মত এলাকার এক বয়স্ক নাগরিকের৷ তিনি বলেন, পায়ে ব্যথা নিয়ে বাজারের রেশন দোকানে যেতে হত৷ তার পর দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হত৷ এখন ঘরের সামনেই রেশন পাচ্ছি৷ রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ৷