কলকাতা : সোমবার রাতে কলকাতায় প্রচারে এলেন এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি এদিন শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় আসেন। শিলিগুড়িতে বিজেপি নেতা এবং উত্তরবঙ্গের বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি যখন শিলিগুড়িতে বৈঠক করছেন, তার কিছুক্ষম পরেই কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার তিনি জিটিএর শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
এদিন বিমানবন্দরে দ্রৌপদীকে স্বাগত জানান বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। আদিবাসী নাচগানের মাধ্যমে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিমানবন্দর থেকে তিনি সোজা চলে যান নিউটাউনের এক পাঁচতারা হোটেলে। সেখানে রাতে তিনি বিজেপির রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। সেখানে কয়েকজন সাংসদ এবং বিধায়কও ছিলেন। বিজেপি সূত্র্রের খবর, মঙ্গলবার তিনি বিধানসভা ভবনে বিজেপির বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তৃণমূল বিধায়ক বা সাংসদদের সঙ্গে দ্রৌপদী কথা বলবেন কি না, তা পরিষ্কার নয়।
এনডিএ প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আলোচনা করবেন বলে ঠিক ছিল। কিন্তু এদিনই মমতা উত্তরবঙ্গে চলে গিয়েছেন। বিরোধী জোটের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। বিরোধী দলগুলি একত্রে বসে যশবন্তের নাম চূড়ান্ত করে। তিনি রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে প্রচারও চালাচ্ছেন। কিন্তু ১ জুলাই, রথের দিন মমতা বলেন, আগে জানলে আমরা এনডিএ জোটের আদিবাসী প্রার্থীকেই সমর্থন করতাম। প্রথমত, তিনি আদিবাসী মহিলা প্রার্থী। তার উপর রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী হওয়াই ভালো। কিন্তু তাদের প্রার্থী কে হবেন, বিজেপি ত আগে আমাদের জানায়নি। এখন আর আমার একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।
শনিবারই এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর কলকাতায় প্রচারে আসার কথা ছিল। কিন্তু জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওইদিন সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের কথা ঘোষণা করেন। তাই দ্রৌপদীর সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করা হয়।
