কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতার আজাদগড়ে পুলিস হেফাজতে মৃত দীপঙ্কর সাহার ময়না তদন্তকে প্রভাবিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল পরিবার। শনিবার মৃতের দাদা রাজীব সাহা বলেন, পুলিস ময়না তদন্তের সময় আমাদের উপস্থিত থাকতে বলেছিল, বলা হয়ছিল, আমরা ভি়ডিয়ো করতে পারব। কিন্তু ময়না তদন্তের দিন আমাদের ভিতরে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। ভিডিয়োও করতে দেওয়া হয়নি। পুলিস যে ভিডিয়োগ্রাফি করার কথা বলছে, তা যে ভাইয়ের ময়না তদন্তেরই, তা কী করে বুঝব। রাজীব বলেন, আমরা ময়না তদন্তের এই রিপোর্ট মানি না।
রাজীব এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের অভিযোগ, কোনও পরোয়ানা ছাড়াই দীপঙ্করকে বাড়ি থেকে দুই পুলিসকর্মী ডেকে নিয়ে যায়। ওকে থানার লকআপে মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাঙ্গুর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মৃত দীপঙ্করের দাদা রাজীব বিজেপির সক্রিয় কর্মী। কলকাতা পুরসভার গত ভোটে তিনি ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তপন দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদিন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে গল্ফগ্রিন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সমর্থকরা। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা প্রশ্ন তোলেন, কার নির্দেশে গত রবিবার পুলিস দীপঙ্করকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল না।
প্রসঙ্গত, আগের রবিবার দীপঙ্করকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিস। অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যা মাদক মামলায় জড়িয়ে থানায় নিয়ে মারধর করা হয়। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। পুলিসের দাবি, দীপঙ্কর মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। রাতে রাউন্ডে থাকা পুলিস তাঁকে তুলে আনে থানায়। আধঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। দীপঙ্করকে মারধরের কথাও অস্বীকার করে পুলিস। শনিবার অবশ্য লালবাজার গল্ফগ্রিন থানার এক সার্জেন্ট সহ দুই পুলিসকর্মীকে ক্লোজ করেছে।