বহরমপুর: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও বহরমপুরের চুয়াপুর রেল ব্রিজ উদ্বোধন করে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সকালে বহরমপুরের রেল স্টেশন রোড সংলগ্ন চুয়াপুর ব্রিজ ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।
প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, আজ থেকে নির্বাচন বিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। ফলে কী করে ওই ব্রিজ উদ্বোধন করতে পারেন দিলীপ ঘোষ। তাছাড়া কোনও ব্রিজ বা রেলের কোনও প্রকল্প উদ্বোধন করতে গেলে আগে থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সে নিয়মের তোয়াক্কা করেনি বিজেপি। আসলে বিজেপি ফাটকা বাজের দল। তাছাড়া চুয়াপুর রেল ব্রিজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন তৎকালীন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী।
গত দুর্গাপুজোর পর চুয়াপুরের রেল ব্রিজ চালু হয়ে গিয়েছে। তার কিছুদিন পরে রেল দফতরের সঙ্গে ওই ব্রিজ পরিদর্শন করেছিলেন অধীর চৌধুরী। ফলে চুয়াপুর ব্রিজ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি বলে দাবি করেন ওই কংগ্রেস নেতা। যদিও ব্রিজ উদ্বোধনের ঘটনা স্বীকার করে দিলীপ ঘোষ বলেন, চুয়াপুর ব্রিজ বহরমপুর পুরসভার মধ্যে পড়ছে। ফলে নির্বাচনের প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না।
আরও পড়ুন: Load Shedding | লোডশেডিংয়ে জেরবার সাধারণ মানুষ
অন্যদিকে চুয়াপুর রেল ব্রিজের একদিক বহরমপুর পুরসভা হলেও অন্যদিকে ভাকুড়ি পঞ্চায়েত অবস্থিত। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই ব্রিজ উদ্বোধন করে বিতর্কের মধ্যে জড়ালেন বিজেপি নেতা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানান, এবারও এক দফায় হতে চলেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। আজ থেকে মনোনয়ন শুরু হবে, শেষ হবে ১৫ জুন। ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। এরপরেও দিলীপের রেল ব্রিজ উদ্বোধনকে ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।