শেষ পর্যন্ত কি প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিং কংগ্রেস সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন? বুধবার তাঁর নাম নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে কংগ্রেস মহলে। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, দিগ্বিজয় আজ রাতেই দিল্লি চলে আসতে পারেন। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অশোক গেহলটই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে যাবেন। তবে সরকারিভাবে কংগ্রেস এখনও এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি।
কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে আরও কিছু নাম ভেসে আসছে। মল্লিকার্জুন খড়্গে, এ কে অ্যান্টনি, কমল নাথ, মুকুল ওয়াসনিক, অম্বিকা সোনি, পবন বনশলের মতো অনেকের নামই শোনা যাচ্ছে। আবার তাঁদের মধ্যে অনেকেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আদৌ সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক নয়। এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ পবন বনশল মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র তুলেছেন। তবে তাঁর দাবি, নিজের জন্য নয়, অন্য কারও হয়ে তিনি মনোনায়নপত্র তুলেছেন। নাম শোনা যাচ্ছে শশী থারুরেরও। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না, তা পরিষ্কার নয়।
আগামী শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার আগেই কংগ্রেস হাই কমান্ডকে সভাপতি পদপ্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। বুধবার দিনভর সেই প্রক্রিয়াই চলছে সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে। যে দিগ্বিজয়ের নাম এখন সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে, সেই তিনিই কয়েকদিন আগে দাবি করেছিলেন, সভাপতি পদের লড়াইতে নেই। রবিবার রাজস্থানের কুনাট্য হওয়ার পর থেকে কংগ্রেস সভাপতি পদ নিয়ে চূড়ান্ত টানাপড়েন চলছে। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছেন, রাজস্থান কাণ্ড এবং সভাপতি পদ নিয়ে এই টানাপড়েনের কোনও প্রভাব যেন রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার উপর না পড়ে। তার জন্যই তাঁরা চান, দ্রুত সভাপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়ে যাক।
অশোক গেহলট দাবি করেছেন, রবিবার জয়পুরে যে কুনাট্য হয়েছে, তার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু হাইকমান্ড তা মানতে রাজি নয়। আবার এই মুহূর্তে শীর্ষ নেতৃত্ব গেহলটকে চটাতেও চাইছেন না। তাই রাজস্থানের তিন প্রভাবশালী বিধায়ককে শো কজ করলেও হাইকমান্ড গেহলটের বিরুদ্ধে এখনই কোনও ব্যবস্তা নেওয়ার পক্ষপাতী নয়। তারা ধীরে চল নীতি নিয়ে চলতে চায়। তিন বিধায়ককে আগামী দশদিনের মধ্যে শো কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।