ধূপগুড়ি: ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমার (Sub Division) ঘোষণা। তাতেই ধরাশায়ী প্রতিপক্ষ। ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) জয় নিয়ে বেগ পেতে হয়েছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC)। দীর্ঘদিন খাতা খুলতে পারেনি উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস। ধূপগুড়ির উপনির্বাচনের (By Election) জয় ২০২৪ এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে আত্মবিশ্বাসে ফেরাল। অন্যদিকে প্রথম থেকেই প্রচারে সাগরদিঘির মডেলকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল বাম কংগ্রেসের জোট। কিন্তু আদপে সেই ফর্মুলা কাজে লাগলো না। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ধূপগুড়ি কেন্দ্রে ২০২১ এর বিধানসভা আসন জিতেছিল। আশা করেছিল এবারেও ধূপগুড়ির আসন তারাই দখল করবেন। কিন্তু শেষমেশ বিপক্ষের মহকুমার ঘোষণা ভোটের লড়াই থেকে তাদের অনেকটা ছিটকে দিল। গেরুয়া শিবির প্রথম থেকেই জাতীয়তাবাদকে কাজে লাগিয়ে এক সেনাবাহিনীর স্ত্রীকে ধূপগুড়ি কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছিল। মানুষ সঠিকভাবে তা নেয়নি প্রমাণ দিল নির্বাচনের ফলাফল।
প্রচারের শেষ বেলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়ির মানুষকে একটাই কথা বলেছিলেন চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ধূপগুড়ি হবে মহকুমা। আর সেখান থেকেই মানুষ দীর্ঘদিনের জ্বালা যন্ত্রনাকে ভুলে ভোট বাক্সে নিজেদের পছন্দের প্রমাণ দিলেন। যার ফলে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ছাড়া বাকি ৫ দলের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হল। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফল তাই উত্তরবঙ্গে ঘাসফুলের জমিকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাল। ৪৩০৯ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসার আরও একবার প্রমাণ দিল ধূপগুড়ির মানুষ।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা
বিজেপির পরাজিত প্রার্থী তাপসী রায় স্বীকার করেছেন ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করায় পরাজিত হতে হল তাঁকে।