মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়ে গেল ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথের সামনে লাইন পড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে চলছে ভোট। প্রতি বুথে ন্যূনতম এক সেকশন করে কেন্দ্রীয় জওয়ান আছেন। বুথের বাইরে পাহারায় রয়েছে রাজ্য পুলিশ। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ১৫৫টি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। সিসিটিভি আছে ১১০টি বুথে। মোট ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ২০৫টি। বুথ ২৬০টি। তার মধ্যে ১৫০টি বুথ অতি স্পর্শকাতর। ভোট চলবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত।
উপনির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪১৬। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯০। মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৩২৪।
বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে ধূপগুড়ি আসনটি খালি হয়। এই কেন্দ্রে আজ মূলত ত্রিমুখী লড়াই। ভোটের ময়দানে রয়েছেন কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়, তৃণমূলের নির্মল রায় এবং বিজেপির তাপসী রায়। ভোটের দুদিন আগে, রবিবার ধূপগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায় বিজেপিতে যোগ দেন। তার আগে শুক্রবারও তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের প্রচার মঞ্চে হাজির ছিলেন। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। মিতালি দাবি করেন, তৃণমূলই জিতবে। শুধু তাই নয়, তিনি দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারও করেন। তার দুদিন পরই মিতালির বিজেপিতে যোগদান শাসকদলের পক্ষে একটা বড় ধাক্কা। যদিও প্রচারে এসে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল বলেই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁকে দল টিকিট দেয়নি।
এই আসনে গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী প্রায় সাড়ে চার হাজার ভোটে জেতেন তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে। জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ায় তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস থাকলেও ধূপগুড়িতে কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী লড়াই করছেন তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতারা জানিয়েছেন, জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট হলেও বাংলায় তাদের লড়াই তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, এখানেও লড়াই হচ্ছে সাগরদিঘি মডেলে।