লখনউ: শান্তিপূর্ণ আন্দোলন (Movement) চলছে। পতাকা হাতে আন্দোলনকারীরা রাস্তা ধরে হেঁটে আসছেন। আচমকা চার চাকা গাড়ি (Car) তাঁদের পিষে দিয়ে বেরিয়ে গেল। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল চারজনের দেহ। বাকিরা কেউ আতঙ্কে দূরে সরে গেলেন। কেউ ক্ষোভে গাড়ির পিছু ধাওয়া করলেন। মুহুর্তেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চত্বর রণক্ষেত্রের (Battle field) চেহারা নিল। গুলি চলল। আগুন জ্বলল। ফের ছয়-সাতজন গুরুতর জখম হলেন। পরে তাঁদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু (Death)। সব মিলিয়ে নয়। বছর উনিশের যুবকও ছিলেন। ৩ অক্টোবর রবিবার। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর (Lakhimpur) জেলার খেরির তিকুনিয়ার ঘটনা।
কার্তুজ। বৃহস্পতিবার ফরেনসিক টিম সংগ্রহ করেছে। নিজস্ব চিত্র।
শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার ফরেনসিক টিম এল। সংগ্রহ করল দুটি কার্তুজ। একাধিক ছেড়া কাপড় টুকরো, চপ্পল,লাঠি। পড়ে রইল আগুনে ভস্মীভূত গাড়ি। প্রতিটি জিনিসই সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিচ্ছে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আরও কিছু সংগ্রহ করার চেষ্টা চলল। হল না। গোটা পর্ব তুলে ধরলেন কলকাতা টিভির প্রতিনিধি নীরজ ঠাকুর। তাঁর পাঠানো ভিডিও – ছবি সেদিনকার ঘটনা মনে করাচ্ছে। কী আছে ছবিতে?
আরও পড়ুন-চারদিন পর লখিমপুরের হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার ২
ভস্মীভূত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
গাড়ি পিষে দেওয়ার পর আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেকের আগুনে ভস্মীভূত গাড়ি। শুধুই কি গাড়ি? পুড়েছে ক্ষোভ। ক্রোধের কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় খেরির আকাশ।
ভস্মীভূত আরও একটি গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন- লখিমপুর হিংসা কাণ্ডে মন্ত্রীর বাড়ির বাইরে হাজিরার নোটিস উত্তরপ্রদেশ পুলিশের
রাস্তার পাশে আন্দোলনকারী কৃষকের চটি, কাগজের প্লেট। নিজস্ব চিত্র।
কয়েকদিন আগেও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলে। রবিবার মুহূর্তের ঘটনায় সব কিছু ওলট পালট হয়ে গেছে। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী পড়ে থাকা কাজের প্লেট ও জুতো।
তন্নতন্ন করে নমুনা খুঁজে চলেছে ফরেনসিক দলের সদস্য। নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন-লখিমপুরের ঘটনায় কতজন গ্রেফতার, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যোগী সরকারকে জানাতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
গোটা ঘটনার প্রতিবেদক তুলে ধরছেন কলকাতা টিভির সাংবাদিক নীরজ ঠাকুর।
আরও পড়ুন- স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের ক্ষমতা রয়েছে ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফিরেনসিক আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে অখিলেশ যাদব। নিজস্ব চিত্র।