নয়াদিল্লি: ধনকুবের গৌতম আদানিকে (Gautam Adani) গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সংসদ সদস্যদের এক প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের (Finance Minister Nirmala Sitharaman) দফতরে যায়। তৃণমূলের লোকসভা সদস্য প্রতিমা মণ্ডল, আবু তাহের খান, খলিলুর রহমান, সুনীল মণ্ডল এবং রাজ্যসভা সদস্য শান্তনু সেন, আবির বিশ্বাস, মৌসম নুর এবং সুস্মিতা দেব ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন। আদানি এবং মোদির মুখ আঁকা সাদা রংয়ের টুপি পরে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রতিবাদ হিসেবে নির্মলার অফিসে দুটি টুপিও রেখে আসেন তাঁরা।
এদিনই তৃণমূল সাংসদদের আর একটি প্রতিনিধিদল মিছিল করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) অফিসে যায়। সেখানেও একই দাবি তোলেন তাঁরা। দলের তরফে এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, দুর্নীতি বিরোধী লড়াইয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে রক্ষা করার লড়াই চলবে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল বেশ কিছুদিন ধরেই আদানিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে যাচ্ছে। আদানিকে কেন এতদিনেও গ্রেফতার করা হচ্ছে না, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সে জবাবও তলব করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: Air India | Iconic Building | মূল্য ১,৬০০ কোটি, বিক্রি হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার নরিমান পয়েন্টের অফিস
আদানি ইস্যুতে তৃণমূল বাদে কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রায় সব দলই এককাট্টা হয়েছে। এই অবস্থায় জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলনেত্রীর একলা চলো নীতির তৎপরতা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়ে। সম্প্রতি কংগ্রেস এবং তৃণমূলের (Congress and TMC) সম্পর্ক যে তিক্ততায় গিয়ে পৌঁছেছে, তাতে এই দুই দলের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। দুই দলের অনেক প্রবীণ নেতাই মানছেন, এই ফাটল আর জোড়া লাগা সম্ভব নয়।
আঞ্চলিক দলগুলির সম্ভাবনা নিয়ে গত সপ্তাহেই তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে গিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। মমতার সুরেই অখিলেশও কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির ঐক্যের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সমাজবাদী পার্টি দিদির সঙ্গেই থাকবে। তবে তাঁর এই আশ্বাস শেষ পর্যন্ত কতটা কার্যকর হবে, সেটাও প্রশ্নের মুখে। কারণ সমাজবাদী পার্টির অতীত সকলেরই জানা। শুক্রবার তৃণমূলনেত্রী ভুবনেশ্বরে বৈঠক করবেন বিজু জনতা দলের সু্প্রিমো তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে। সেখানেও স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় রাজনীতি এবং আঞ্চলিক দলগুলির শক্তি নিয়ে কথা হবে। তবে নবীনের দল এখনও জাতীয় স্তরে এনডিএ-র শরিক। মমতা যদি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোটের প্রস্তাব দেন, নবীন সেই প্রস্তাব মানবেন কি না, সন্দেহ আছে। যদিও নবীনের সঙ্গে মমতার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক।