কলকাতা: যাদবপুরের (Jadavpur) রেশ কাটতে না কাটতেই এবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindrabharati University) দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ছাত্রছাত্রীদের একাংশ মরকত কুঞ্জে বিক্ষোভ দেখান। বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নানা অব্যবস্থা চলছে। এর জন্য পড়ুয়ারা উপাচার্য শুভ্রকমল মুখ্যোপাধায়কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, নিরাপত্তার অভাবের কথা বলে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। বাড়িতে বসে কাজ চালাচ্ছেন। তিনি ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভাবছেন না। ছাত্রীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরাও এখন নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। পড়ুয়ারা বলেন, উপাচার্য যদি নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসেন, তাহলে আমাদের দাবিদাওয়ার কথা কাকে জানাব।
সম্প্রতি হিন্দি বিভাগের পাঁচ ছাত্রী বিভাগীয় দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন। ছাত্রীদের অভিযোগ, র্যাগিং করার পাশাপাশি তাঁদের মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃত ভাবে সাপ্লি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা সিঁথি থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কেন তাঁদের সাপ্লি দেওয়া হয়, তা নিয়ে পাঁচ ছাত্রী অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। সে সময় অধ্যাপকদের সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। তখনই দুই ছাত্র তাঁদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এতে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি উপাচার্যকেও জানানো হয়েছে, এমনটাই জানান পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের বিবরণ প্রিসাইডিং অফিসারের হলফনামায়
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠকেই সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট দুই অধ্যাপক র্যাগিং বা মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। বেশ কিছুদিন ধরে উপাচার্য শুভ্রকমল মুখ্যোপাধ্যায় বাড়িতে বসে কাজ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থক কর্মচারী ইউনিয়নের হুমকির ভয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। ইউনিয়নের লোকজন যখন তখন তাঁর দফতরে এসে পড়ছেন। তাঁর নাম করে ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণেই তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শুভ্রকমলকে রবীন্দ্রভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য পদে বসানোর পর থেকেই তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী ইউনিয়ন এবং তৃণমূল সমর্থক পড়ুয়ারা তাঁকে নানা ভাবে বিরক্ত করছে বলে অভিযোগ। তিনি স্থানীয় সিঁথি থানায় অভিযোগও করেছেন বিষয়টি আচার্য তথা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, তিনি আর উপাচার্য পদে থাকতে চান না বলেও শুভ্রকমল রাজ্যপালকে জানিয়েছেন।