হাওড়া: শুধু করমণ্ডল এক্সপ্রেস নয়। মৃত্যু হয়েছে যশবন্তপুর এক্সপ্রেস (Yesvantpur Express) ট্রেনের যাত্রীরও। শনিবারই হাওড়ার (Howrah) এক যাত্রীর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ওড়িশার (Odisha) বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল। শুক্রবার বাড়ি ফেরার ট্রেনে উঠে ফোন করে বলেছিলেন শনিবার বাড়ি পৌঁছবেন। যদিও বাড়ির কেউ স্বপ্নেও ভাবেননি বাড়ি ফিরবে তাঁর নিথর দেহ। হাওড়ার নলপুর মধ্যমপাড়ার বাসিন্দা শেখ মুন্নার (Sk Munna) অকাল প্রয়াণে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সাত ভাইয়ের মধ্যে ছোট মুন্না।
বছর সাতেক আগে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর কোনও সন্তান হয়নি। কোভিড মহামারীর পর থেকে এলাকাতে তেমন রোজগারের পথ না পেয়ে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন। মাস পাঁচেক আগে বাড়ি থেকে গিয়েছিলেন সুদূর তামিনাড়ুতে (Tamilnadu) জরির কাজ করতে। শনিবার তাঁর বাড়ি ফেরার কথাও জানিয়েছিলেন হাওড়াগামী যশবন্তপুর ট্রেনে উঠে। শুক্রবার বিকেল ৫ টা নাগাদ শেষ কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সেই শেষ কথা হয় বাড়ির লোকের সঙ্গে। এরপর বালেশ্বরের (Balasore) কাছে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় কাটছিল তাঁর পরিবারের। সব জল্পনার অবসান হল পরিবারের সদস্যর মৃত্যুর খবর পেয়ে। নেমে এল শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন: Coromandel Express | Narendra Modi | দোষীদের রেয়াত করা হবে না কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই মুন্নার ফোনে ফোন করলেও ক্রমাগত মোবাইল বেজে যাচ্ছিলো। রাত ১১টার সময় ফোনের অপর প্রান্তে এক অচেনা ব্যক্তি ফোন তুলে জানান, তাঁদের পরিবারের সদস্যর দুর্ঘটনাতে মৃত্যু হয়েছে। বাড়িতে বাবা ও স্ত্রী রয়েছে তাঁর। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের (Balasore) কাছে লাইনচ্যুত হয় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) । হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে শুক্রবার দুপুরে ট্রেনটি ছাড়ে। খড়্গপুর স্টেশন ছাড়ে বিকেল সওয়া ৫টায়। সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছয় বালেশ্বরে। সেই সময় বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি। একই লাইনে মালগাড়ি ও করমণ্ডল এক্সপ্রেস চলে আসায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দুটি গাড়ির। ট্রেনের তিনটি বগি ছাড়া বাকি সব বগিই লাইনচ্যুত হয়। সেসময়ই সেখানে পাশের লাইনে ছিল যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনটিও লাইনচ্যুত হয়।