রাতুল বন্দ্যোপাধ্যায়: সপ্তাহান্তে ট্রেন বিভ্রাটের মুখে পড়তে হল নিত্যযাত্রীদের। শুক্রবার বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায় বারাসতে পয়েন্ট সিগন্যালে খারাপের কারণে দাঁড়িয়ে রইল একের পর এক ট্রেন। রেল সূত্রের খবর, এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ বারাসতের পয়েন্ট সিগন্যাল খারাপ হওয়ার কারণে বনগাঁ থেকে শিয়ালদহগামী সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একের পর এক ট্রেন বামনগাছি, দত্তপুকুর, বিড়া, গুমা এবং অশোকনগর সহ একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে। বাতিল করা হয় লেডিস স্পেশাল সহ বেশ কয়েকটি ট্রেন। যার ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। যদিও সিগন্যাল মেরামতির পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও পরে ফের বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল থেকে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায় বন্ধ ছিল ট্রেন। যাত্রীদের অভিযোগ, রেলের পক্ষ থেকে কোনওকিছুই জানানো হয়নি। বারাসতে হ্যান্ড সিগন্যালের মাধ্যমে খুব ধীর গতিতে ট্রেন পাস করলেও এক একটি স্টেশনে প্রায় এক ঘণ্টা করে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। তবে রেল সূত্রে খবর, দমদম–বারাসত–বনগাঁ শাখায় ৬টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আর ১৪টি লোকাল ট্রেন দেরিতে চলছে। তবে দুপুর ১টা নাগাদ স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।
আরও পড়ুন: Bolpur Incident | সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে প্রেমিকের ঠোঁট কেটে নিল প্রেমিকার পরিবার!
এদিন সকালে বনগাঁ থেকে দ্বিতীয় আপ ট্রেন বামনগাছি স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে। পরের বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয় বলে জানা যায়। এর ফলে অফিস টাইমে ট্রেন ধরতে এসে বিপদে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। বিশেষত ভোরের দিকে বহু মানুষ চিকিৎসার কারণে কলকাতায় আসেন। এদিন ট্রেন বিভ্রাটের কারণে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। বিকল্প হিসেবে বাসরুটে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতেও সমস্যায় পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে বহু মানুষ বাড়ি ফিরে যান। পাশাপাশি অনেকে বাসে চেপে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছন। স্বাভাবিকভাবে ভিড়ের মুখে পড়তে হয় লোকজনদের। এর জেরে বনগাঁ-বারাসত সড়কপথেও যানজটের সৃষ্টি হয়। ট্রাফিকের কারণে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে একের পর এক গাড়ি। এদিকে বৃষ্টি, তার উপর ট্রেনের সমস্যা, সব মিলিয়ে শুক্রবার চরম ভোগান্তিতে পড়তে হল নিত্যযাত্রীদের।