দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অশনির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া ও সঙ্গে বৃষ্টি। উপকূলবর্তী গোসাবা ও বাসন্তীতে সকাল থেকে হঠাৎই এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
অশনির এখনও স্থলভাগে প্রবেশ করতে অনেক দেরি। কিন্তু তার আগেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তী জুড়ে সকাল থেকে আকাশ কালো হয়ে রয়েছে। শুরু হয়েছে প্রবল হাওয়ার দাপট। সঙ্গে তীব্র ঝাপটায় বৃষ্টি। দোসর ঝড়ো হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত এইসব এলাকায়।
দক্ষিণে শুরু হয়েছে বৃষ্টি
বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেইমতো গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগেই সোমবার সকাল থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল এলাকাজুড়ে। বিশেষ করে পর্যটনকেন্দ্র দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর সহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে অশনি। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় গতি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ওই অভিমুখেই এগোতে থাকবে অশনি।
দিঘায় কালো মেঘ করে শুরু হল বৃষ্টি
এর জেরে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হালকা ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বুধ ও বৃহস্পতি, এই দু’দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে। বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Cyclone Ashani: শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত অশনি