নয়াদিল্লি: কার্যকরী সমিতির বৈঠকের শুরুতেই ইঙ্গিতটা মিলেছিল। অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধী প্রারম্ভিক ভাষণে জানিয়ে দিয়েছিলেন, অন্যরা চাইলে তিনিই দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সূত্রের খবর, আপাতত নতুন সভাপতি বাছতে খুব একটা আগ্রহী নয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। সনিয়ার নেতৃত্বেই আগামী বছর একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চায় কংগ্রেস।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, নতুন সভাপতি বাছতে খুব একটা তাড়াহুড়ো করতে চাইছে দল। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, আগামী বছর সেপ্টেম্বরে সভাপতি নির্বাচন হবে। অন্যান্য শীর্ষপদেও নির্বাচন হবে সেই সময়। ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের ভরাডুবির পর দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলে রাহুল গান্ধী। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সনিয়া গান্ধী।
আরও পড়ুন: ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বিক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা সনিয়ার
G-23 wasn't even mentioned there. They were present at the meeting. Congress isn't divided into factions, we're united. All leaders of Indian National Congress unanimously want Rahul Gandhi to become party pres. The process (for election) will begin in Sept (2022): Ambika Soni pic.twitter.com/8PfDAxvJ4h
— ANI (@ANI) October 16, 2021
কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদের মতো বিক্ষুব্ধ নেতারা সভাপতি হিসেবে স্থায়ী কাউকে চেয়ে বার বার সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন। আজকের বৈঠক থেকে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না বলেই খবর। সেক্ষেত্রে সনিয়াই আরও এক বছর পথ দেখাবেন কংগ্রেসকে। স্থায়ী সভাপতি নিয়ে বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠী আগামীতে কি ভূমিকা নেয়, তাই এখন দেখার।
২০২২-এর প্রথম দিকে গোয়া, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীন নির্বাচন হলে কার্যত স্থায়ী অভিভাবকে ছাড়াই ভোটে লড়তে কংগ্রেসকে। কার্যকরী সমিতির বৈঠকে সনিয়ার বক্তব্যে বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তিনি বলেন, আমরা সংঘবদ্ধ থাকি এবং এককভাবে দলের স্বার্থে মনোনিবেশ করি। তাহলে বিধানসভা ভোটে ভালো ফল হবে।
আরও পড়ুন: প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য ঘিরে টুইটযুদ্ধ কংগ্রেস-তৃণমূলের