হায়দরাবাদ: তেলঙ্গানার মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিক বলে আক্রমণ করার পরদিনই রবিবার বিজেপির ম্যারাথন বৈঠক চলছে হায়দরাবাদে। এদিন সকালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভবনে দলের সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার পৌরোহিত্যে এই বৈঠক চলছে। উপস্থিত রয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি রাজ্যের দলীয় সভাপতিরা ছাড়াও বিজেপির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা।
আগেই ঠিক হয়েছিল, লোকসভা নির্বাচনে মাটি কামড়ে লড়াই করতে তিনটি পৃথক অঞ্চল ভাগ করে বৈঠক করবে বিজেপি। উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলের এই বৈঠকগুলি হবে আলাদা আলাদা দিনে। উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের দুটি বৈঠক গত সপ্তাহে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণে পায়ের তলায় জমি ফিরিয়ে আনতে দাঁতে দাঁত চিপে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একেবারে তলা থেকে কর্মীদের ভোট প্রস্তুতির জন্য সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Tourist Spot | পাহাড় ভালোবাসেন? বৃষ্টির মরশুমে ঘুরে আসুন ভারতের এই ৫ জায়গা
সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, গুজরাত, দমন দিউ-দাদরা এবং নগর হাভেলি, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি এবং হরিয়ানাকে উত্তরাঞ্চলে ফেলা হয়েছে। ৫৪৩ সদস্য বিশিষ্ট লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে পূর্বাঞ্চলে রাখা হয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরাকে। অন্যদিকে, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কর্নাটক, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মুম্বই, গোয়া, আন্দামান-নিকোবর এবং লাক্ষাদ্বীপকে দক্ষিণাঞ্চলে রাখা হয়েছে।
এই সব বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা, রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক মন্ত্রীরা। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, রাজ্য সভাপতি, মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরাও ছিলেন। অঞ্চলভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন কৌশল রূপায়ণ ও প্রচারের ধাঁচ গঠন করা হবে বৈঠকে। জাতীয় এবং একইসঙ্গে স্থানীয় ইস্যুগুলিকে প্রচারে তুলে ধরবে দল। এই বৈঠকেই দলের অভ্যন্তরীণ দায়িত্ব দেওয়া হবে বেশ কিছু নেতাকে।