কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) নিয়ে এবার আরএসএস মুখপত্রে কঠোর সমালোচনা। আরএসএসের (Rashtriya Swayamsevak Sangh) যে মুখপত্র স্বস্তিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ,সেই মুখপত্রে সম্পাদকীয়তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পঠনপাঠন ও গবেষণার যে অন্তজলি যাত্রা হয়েছে তা বলা হয়েছে। এর জন্য ‘মুক্ত চিন্তা সম্পন্ন ও প্রগতিশীল বাম এবং অতি বাম ছাত্র এবং অধ্যাপকদের দায়ী করা হয়েছে।
আরএসএসের যে মুখপত্রে টার্গেট করা হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। শুধু মুখপাত্রে নয় সব মিলিয়ে সব মিলিয়ে এই সংখ্যায় সাতটি লেখা লেখানো হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমালোচনা করে। আরএসএস এই সংখ্যায় বাম ও অতি বামদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে,বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন ও গবেষণার যে অন্তজলি যাত্রা হয়েছে । এই বিশ্ববিদ্যালয় ব়্যাগিং যৌন নির্যাতন ,মদ গাঁজা সেবন – এই সবের পুরো ভাগে রয়েছে এরা। বহু বছর ধরে ভারত বিরোধী কার্যকলাপের অতুরঘর হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। জেএন ইউ পর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আরএসএস মূল টার্গেট। যেখানে আরএসএস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সেখানে, কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই বছর গেট পরীক্ষায় প্রথম একশো জনের মধ্যে বহু ছাত্রছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়। ইলেকট্র্যনিক্স এবং টেলি কমিউনিকেশনে দেশের মধ্যে প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। এছাড়া অর্থনীতি এবং ভূতত্ত্বে প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রী। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট।
আরও পড়ুন: জাল ওষুধের কারবারি ধরতে ড্রাগ কন্ট্রোলের হানা বড়বাজারে
রাজনৈতিক মহলের মতে বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা দেশের শিক্ষাঙ্গানে আরএসএস নিজেদের শাখা বিস্তার করতে তৎপর। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সেখানকার সর্বোচ্চ পদে আরএসএসের লোকদের বসানো হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে ধরা যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এতদিন দেখা গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপাল নমিনি হিসেবে দেশের তাবড় তাবড় শিক্ষাবিদরা যান। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপালের নমিনি হয়ে গিয়েছে বিজেপির লোক।স্বাভাবিক ভাবে বিজেপির লোক যখন গিয়েছে তখন বোঝাই যাচ্ছে সে কী কথা বলতে পারে। এই ভাবে গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিজেদের মুঠোয় আনতে চাইছে আরএসএস। তারই অঙ্গ হিসেবে একদিকে আক্রমণ, মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত তৈরি করা। অন্যদিকে যেখানে তারা ক্ষমতায় আছে সেখানে প্রশাসনিক পদ দখল করা। মূলত এই ট্র্যাটেজি নিয়ে চলছে তারা। তারা ভাবছে এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে ভাবে শিক্ষা পদ্ধতি চলে তা আরএসএসের চিন্তা ভাবনার বিরোধী। তারা তাদের মতো করে চালনা করতে চাইছে। সেই জন্য আরএসএস নিজেদের মুখপত্রে একটা সংখ্যা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উৎসর্গ করেছে।
দেখুন ভিডিও