নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় অধীর চৌধুরীকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া গান্ধী। বারংবার দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবারই কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীরকে সাসপেন্ড করেন ওম বিড়লা। সেই ঘটনার পর দলীয় কৌশল রূপায়ণের জন্য এদিন সকালে সংসদে কংগ্রেসের সংসদীয় কার্যালয়ে লোকসভা সদস্যদের আলোচনার জন্য ডেকেছে সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া।
বৃহস্পতিবার বিরোধীশূন্য লোকসভায় ধ্বনিভোটে অনাস্থা প্রস্তাব হেরে যাওয়ার পরই জানা যায় অধ্যক্ষ কংগ্রেস দলনেতাকে সাসপেন্ড করেছেন। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি সাসপেনশনের প্রস্তাব পেশ করেন। অনাস্থা বিতর্কে অধীর প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেন, যাকে অসংসদীয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। অধীরের বক্তব্যের সময়ই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে বেশ হইচই হয়। পরে জোশির এই প্রস্তাব ধ্বনিভোটে গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: সকলে ঘুম থেকে উঠে এই কাজ করলেই কমবে পেটের চর্বি
অধীর অবশ্য পরে বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অপমান করেননি। লোকসভায় অধীর ভাষণে বলেছিলেন, মণিপুর ইস্যুতে মোদিজি ‘নীরব’ হয়ে বসে রয়েছেন। যার অর্থ মৌন। নীরব মানে চুপ করে থাকা। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অপমান করার কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না, বলেন অধীর। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও অপমানিত বোধ করেননি। তাঁর খোশামুদে সাঙ্গোপাঙ্গরাই মনে করেছে। বিষয়টি স্বাধিকার ভঙ্গ বিষয়ক কমিটিতেও গিয়েছে বলে শুনেছি। আর ততদিনের জন্য আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
কংগ্রেসের সাংসদ মণীশ তেওয়ারি এই সাসপেনশনকে দুর্ভাগ্যজনক এবং সংবিধানের ১০৫ ধারা লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন। কংগ্রেসের লোকসভার চিফ হুইপ মানিকম ঠাকুর বলেছেন, মোদির বিরুদ্ধ বলার জন্য লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করার ঘটনা বোধহয় এই প্রথম। অবিশ্বাস্য, অগণতান্ত্রিক, আমরা এই স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করি।