কলকাতা: আজ ৩০ জানুয়ারি, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর হত্যার দিন। আর এই দিনেই বেলেঘাটায় কে আগে গান্ধী মূর্তিতে মাল্যদান করবে সেই নিয়েই কার্যত প্রতিযোগিতা হল তৃণমূল – সিপিএমের। সোমবার সকালে গান্ধীভবনে গিয়ে গান্ধী মূর্তিতে মালা দিতে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি-সহ অন্যান্য নেতারা। তাঁরা মালা দিতে গান্ধী ভবনে ঢুকতে গেলের বাধা দেন শাসকদলের কর্মীরা। তাদের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসাও হয় সিপিএম নেতৃত্বের। যদিও শেষমেশ বিবাদ কাটিয়ে বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমরা শ্রদ্ধা জানালেন গান্ধীমূর্তিতে। তবে তৃণমূলের বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ তাঁদের।
মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেন, এদিন সকাল সকাল তাঁরা বেলেঘাটার গান্ধী ভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানাতে। দলে ছিলেন বিমান বসু, সীতারাম ইয়েচুরি, মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ আরও অনেকে। কিন্তু তাঁদের বাধা দেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বলা হয়, গান্ধীভবনের মূর্তিতে মাল্যদানের জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছিল তৃণমূল। তাই তার আগে বামেদের শ্রদ্ধা জানানোয় আপত্তি তোলা হয়। দীর্ঘক্ষণ তাঁরা অপেক্ষা করেন গান্ধীভবনের সামনে। তারপর মালা দেন।
আরও পড়ুন: BJP Sukanta Majumdar: গঙ্গা আরতি মামলায় জামিন পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর এই বাধা দানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁরা দাবি, বাম নেতৃত্বদের গান্ধী ভবনে মালা দেওয়ার কথা ছিল বেলা ১২টা নাগাদ। কিন্তু তাঁরা ২ ঘণ্টা আগেই সেখানে পৌঁছে যান। তাঁদের ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করতে হয়েছে। কারণ, তার আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মালা দেওয়ার কথা ছিল। প্রশাসনের কাছে তাঁরা অনুমতিও নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর।