নদিয়া: ভোট হিংসায় মৃতের তালিকা ক্রমশ লম্বা হচ্ছে। শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election ) দিন কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) কোতোয়ালি থানার ভালুকায় শুকুর আলিকে শাসকদলের লোকজন বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম শুকুর আলি হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে পারেননি। পরিবারের লোকজন গ্রামীণ ডাক্তারকে দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করান। অবস্থার অবনতি হলে সোমবার সকালে তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদিন সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুকুরের পুত্রবধূ সুমিতা দেবি ভালুকায় সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গত ৮ জুলাই কৃষ্ণনগরের আনন্দবাসে শুকুরকে ব্যাপক মারধর করে তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাড়িতে বোমাবাজিও চলে। সেই বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুদিন ধরে চিকিৎসা চলার পর শুকুর আলি শেখের মৃত্যু হয়। ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তাঁর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সিপিএম নেতা কর্মীরা। কারণ, প্রথম থেকেই পুলিশ উদাসীন ছিল। তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে চায়নি পুলিশ। যার ফলে ভোটের দিন যথেষ্ট সন্ত্রাস চালায় তৃণমূল।
আরও পড়ুন:Panchayat Election | মুর্শিদাবাদে আরও এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু
নদিয়া জেলা স্তরের এক সিপিএম নেতা বলেছেন, “এই মৃত্যুর জন্য দায়ী সম্পূর্ণরূপে পুলিশ ও প্রশাসন। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ওই এলাকায় সিপিএম কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।” এদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, বামেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই ওই ব্যক্তি জখম হয়ে মারা গিয়েছেন।