করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আতঙ্কে গোটা দেশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিকাকরণে জোর দিয়েছে সরকার। এলাকাভিত্তিক করোনা বিধিনিষেধও জারি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও সংক্রমণে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ কমলেও এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টার মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬২৮ জন।
আরও পড়ুন: চাইলে মায়ের পদবি ব্যবহার করবে সন্তান, রায় দিল্লি হাইকোর্টের
দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ১৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৮৫। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬১৭ জনের৷ এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৭১৷ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ১৭ জন৷ মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ১০ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮৬১ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৩৭ শতাংশ।
এক সময় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দাওয়াই বলতে ছিল লকডাউন আর নাইট কার্ফু। সঙ্গে কোভিড টিকাকরণ। এই তিন দাওয়াইয়ের জেরে দু’মাস ধরে সংক্রমণের গতি কিছুটা নিম্নমুখী। সুস্থতার হার যেমন বাড়ছে, তেমন দৈনিক মৃত্যুও কমছে। অ্যাকটিভ কেস ধারাবাহিকভাবে কমছে। এ দিন নতুন করে অ্যাকটিভ কেস কমেছে প্রায় ২ হাজার। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ কেস রয়েছে ৪,১২,১৫৩টি৷
আরও পড়ুন: উদ্ধার ৮৬ টি জাল পাসপোর্ট, গ্রেফতার আন্তর্জাতিক চক্রের মূল পাণ্ডা
মাস্ক-স্যানিটাইজার-শারীরিক দূরত্বের পাশাপাশি করোনা রুখতে সবচেয়ে জরুরি হল গণ-টিকাকরণ। আপাতত দেশজুড়ে টিকাকরণেই জোর দিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই দেশের ৫০ কোটি ১০ লক্ষ ৯ হাজার ৬০৯ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ১২ দিন ধরে দেশে দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের কম।