কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) সংক্রান্ত বালি-জগাছার (Bali Jagachha) একটি মামলা খারিজ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ দেখে মামলা খারিজ করল আদালত। অশান্তির কিছু ছবি ধরা পড়লেও এর ভিত্তিতে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। জানিয়ে দিল আদালত। তবে পুলিশ তার তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে। নির্দেশ আদালতের। বালির ওই গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ এজলাসে বসে দেখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। গত ১১ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের গননার দিন ব্যালট লুঠ ও সিপিআইএম (CPIM) কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। সিপিআইএম এর পক্ষে ভোট দেওয়া ব্যালট ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে সিপিআইএম। বালি দুর্গাপুর পল্লীমঙ্গল বিদ্যামন্দির গণনা কেন্দ্রে সকাল ১১ টা থেকে ১১:৩০ টার মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন সিপিএমের বালি – জগাছা উত্তর এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবীপ্রসাদ ভৌমিক।
এদিন বিচারপতি জানতে চান মামলাকারি এসেছেন? না বলে উত্তরে জানালেন মামলাকারির আইনজীবী। এরপর বিচারপতি বলেন, কেন? আমি তো আসতে বলেছিলাম, না আসলে সনাক্ত করবে কে? কারোর তো আসা উচিত ছিল মন্তব্য বিচারপতির। ১১:১৫ মিনিটের একটা ফুটেজ দেখতে পাচ্ছি, কিছু একটা হচ্ছে, মনে হচ্ছে তর্কাতর্কি চলছে। কিন্তু এটা দেখে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব না, অন্য কোনও ক্যামেরা থাকলে হয়তো কিছু বোঝা যেত জানালেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: মহকুমার দাবিতে ধূপগুড়িতে আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ
কোর্ট অফিসারকে বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, হলুদ, নীল, মেরুন জামা পরে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের অন্য কোনও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে ? একজন মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তাকে কি অন্য কোথাও দেখা যাচ্ছে ? মনে হচ্ছে ওই মহিলা ভোটকর্মী। জানাল কমিশন। কাউন্টিং এজেন্টও হতে পারে বলে মন্তব্য বিচারপতির। কিছু একটা হচ্ছে সেটা বোঝা যাচ্ছে, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হচ্ছে সেটাও বোঝা যাচ্ছে। ১১:১৮ মিনিটে আবার সব শান্ত। এর থেকে বেশি কিছু বোঝা যাচ্ছে না। জানালেন বিচারপতি। ওই মহিলাকে বাইরে দেখা যাচ্ছে, তিনি কাউকে কিছু একটা বলছেন। জানালেন বিচারপতি। ১১:১২ মিনিটের পর ওই মহিলাকে দেখা যাচ্ছে। জানালেন বিচারপতি।
অশান্তির ঘটনা যে ঘটেছে সেটা প্রিসাইডিং অফিসারের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার। কিন্তু ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়া, লুঠ হয়েছে কি না সেটা পরিষ্কার নয়। পুনরায় নির্বাচন প্রয়োজন কি না সেটাও এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে না মন্তব্য বিচারপতির। যে পরিমাণ ব্যালট লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ, সেটা জয়ী প্রার্থী যে ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন তার থেকে অনেক কম। ফলে এই সংখ্যক ব্যালট নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলবে না। জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।