নয়াদিল্লি: তিন রাজ্যের বিধানসভার ভোটগণনার (Counting of Votes) মুখে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা (Meghalaya CM Conrad K Sangma) দেখা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে (Assam CM Himanta Biswa Sarma)। তাঁদের এই একান্ত সাক্ষাৎ নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক জলঘোলা হতে শুরু করেছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন নর্থ-ইস্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যালায়েন্সের (NEDA) প্রধান হিমন্ত বিশ্বশর্মা মঙ্গলবার রাতে গুয়াহাটির (Guwahati) এক হোটেলে সাংমার সঙ্গে দেখা করেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একান্তে কথাবার্তা হয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে গুয়াহাটির একটি হোটেলে ছিলেন সাংমা। সেখানে তাঁর বন্ধু বিশ্বশর্মা আসেন এবং দুজনে একা বসে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন।
এদিকে, সাগরদিঘি (Sagardigi) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (By Election) ভোটগণনা নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলাসহ গোটা রাজ্য তাকিয়ে আছে। তিনবারের জেতা তৃণমূল কংগ্রেসের এই কেন্দ্রে এবারেও ঘাসফুল ফুটবে বলে দাবি করেছে জেলা নেতৃত্ব। এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে সিপিএম। এছাড়া পদ্মফুলও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ময়দানে রয়েছে।
আগামিকাল, ২ মার্চ মেঘালয়, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডসহ পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোটগণনা হবে। সকাল ৮টা থেকে তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ১৮০টি কেন্দ্রের গণনা শুরু হবে। মেঘালয়ে ১৩টি গণনাকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নাগাল্যান্ডে ৫৯টি ভোটগণনা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে যেখানে ভোট হয়েছে, সেখানেই ইভিএম রাখা স্ট্রংরুমগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রয়েছে।
এদিকে, কনরাড-হিমন্ত বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মেঘালয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে জিততে পারে এনপিপি। তা হলেও সরকার গঠনে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেতে গেলে অন্য কোনও দলের সাহায্য নিতেও হতে পারে। গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপি এবং এনপিপি মেঘালয়ে শাসন ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু, এবার সেই গাঁটছড়া ভেঙে দুই দলই পৃথকভাবে লড়াই করেছিল। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেন, তিন রাজ্যের কোথাও ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হবে না। বিজেপি ও তার সঙ্গী দলগুলিই সরকার গড়বে।