বাঁকুড়া: রেল দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে বাঁকুড়ার (Bankura) সারেঙ্গার (Sarenga) বাড়িতে ফিরলেন আশিস রজক। বাড়ি ফিরে অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে ভর্তি করা হল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Bankura Medical College Hospital)। ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে বাঁকুড়ার সারেঙ্গার বাড়িতে ফিরলেন আশিস (Ashis Rajak)। তবে বাড়িতে ফিরেই শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় তাঁকে নিয়ে আসা হল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এখন সেখানে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বাঁকুড়ার সারেঙ্গার বাসিন্দা আশিস রজক এই রাজ্যের আরও ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে চেন্নাইয়ে একটি কারখানার কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে খড়্গপুর থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে বসেছিলেন। আশিসের বক্তব্য, হঠাৎই ট্রেনে ঝাঁকুনি অনুভব করেন আশিস। তারপরই ট্রেনে ছিটকে পড়েন আশিস। তাঁর আরও বক্তব্য, ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। পরে জ্ঞান ফিরতেই দেখেন বীভৎস ট্রেন দুর্ঘটনার ছবি। এর পরেই নিজের ফোন থেকে বাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: Jaya Ahsan | Coromandel Express Accident | মর্মান্তিক করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন জয়া!
আশিসের ফোন পেতেই গাড়ি নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্যেশ্যে রওনা দেন পরিবারের লোকজন। এরপর আহত আশিসকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনেন পরিবারের লোকজন সারেঙ্গায়৷ বাড়িতে ফিরে অসুস্থ বোধ করায় ফের আশিসকে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে এখন চিকিৎসাধীন আশিস। মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরলেও তাঁর চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। আহত শ্রমিক আশিস রজক এদিন হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, দুনম্বর বগিতে ছিলাম। আচমকা ঝাঁকুনি দেয় ট্রেন। তারপর ট্রেনটা পাল্টি খেতে থাকে। উল্টে গিয়ে ট্রেনের চাকার দিকটা উপরে উঠে যায়। তারপর আর জ্ঞান ছিল না। আধ ঘণ্টা পরে জ্ঞান ফেরে। তখন রক্তারক্তি। ছেলেকে পেয়ে আশ্বস্ত হয়েছে ওই পরিবার।