নয়াদিল্লি: ওড়িশার বালেশ্বরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, শনিবার দুর্ঘটনাস্থলেই তিনি জরুরি বৈঠক করবেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার কথা রয়েছে তাঁর। পরে আহতদের দেখতে কটক হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬১। পাশাপাশি ক্রমশ বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। প্রত্যক্ষদর্শীদের তরফে জানা যাচ্ছে, এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনি ট্রেনের দরজা ভেঙে ও গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও। এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ রেলের আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী। কথা বলেন উদ্ধারকারীদের সঙ্গেও। কীভাবে এমন বিপর্যয়, তার জন্য রেলের তরফে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী বলেন, এটি বড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রেল, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং ওড়িশা সরকার জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা হবে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কলকাতা ও কটকে চিকিৎসা করাবে রেল। এ ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্তের পর এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র। শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গেও কথা বলে নরেন্দ্র মোদি। এদিন সকালে দুর্ঘটনাস্থলে যান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। ইতিমধ্যে ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে করে বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।