কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হয়েই ‘ফ্যাসিস্ত’ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিলেন প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বুধবার বিকেলে কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। ফ্যাসিস্ত শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। স্পষ্টতই দায়িত্ব পেয়ে আগামী লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সুর চড়িয়ে দিলেন খাড়্গে। প্রায় দু যুগ পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি হলেন তিনি। নিজলিঙ্গাপ্পার পর তিনিই দ্বিতীয় কন্নড় ও জগজীবন রামের পর দ্বিতীয় দলিত কংগ্রেস সভাপতি।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে খাড়্গে বলেন, সাংগঠনিক নির্বাচন দলকে শক্তিশালী করবে। দলের সদস্যদের আশা পূরণ করার চেষ্টা করবেন তিনি। সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি আরও বলেন, আজ গণতন্ত্র বিপদের মুখে। সংবিধান আক্রান্ত। দেশের এই সময়ে কংগ্রেসের নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: দলে এখন আমার কী কাজ হবে, সেটা সভাপতিই ঠিক করবেন: রাহুল
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও শশী থারুরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন। আমি থারুরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি তাঁর মঙ্গল কামনা করি। উনি আমার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং দলকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে আলোচনাও করেছেন। ৮৪ বছর বয়সি খাড়্গে এদিন থারুরকে হারিয়ে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন। খাড়্গের ঝুলিতে পড়েছে ৮৪ শতাংশ ভোট।
সাংবাদিকদের সামনে বিদায়ী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মল্লিকার্জুন। বলেন, রাহুল আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, তিনি দলের একজন সৈনিক। দলের জন্য কাজ করে যেতে চান। সোনিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, সোনিয়াজিকে ধন্যবাদ জানাই। দলের প্রতি তাঁর আত্মত্যাগ ভোলার নয়। তাঁর নেতৃত্বেই দল দুবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল।
এদিকে, নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে যে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন শশী থারুর, পরে নিজেই তা প্রত্যাহার করে নেন। নির্বাচনী কমিটির প্রধান মধুসূদন মিস্ত্রিও সাংবাদিকদের বলেন, গণনায় অনিয়মের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সব ব্যালট একসঙ্গে মিশিয়ে গণনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে একটি মাত্র রাজ্যে অনিয়মের সম্ভাবনা কোথায়! যদিও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে, এটা বোঝাতে ফল ঘোষণার পরেই খাড়্গের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে আসেন থারুর।