নয়াদিল্লি: সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে মোদি সরকারের কফিনে পেরেক ঠোকার উদ্দেশ্যে নামতে চলেছে কংগ্রেস। মণিপুরে হিংসা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত, রেল নিরাপত্তা এবং বেকারি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ঘোর বাদলে মোদি সরকারের কপালে বজ্রাঘাতের প্রস্তুতি কংগ্রেসের অন্দর মহলে। শনিবার রাতে কংগ্রেস সংসদীয় দলের স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে একথা জানান প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ। ওই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন সংসদীয় দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
কংগ্রেস চায় সভার কাজ যাতে ভালোভাবে চলে তা বজায় রাখতে। কিন্তু, সরকারকে চাপে ফেলতে তারা মণিপুরসহ বেশ কিছু ইস্যু ঘরে উত্থাপন করতে চলেছে। যেমন, বিভিন্ন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে যেভাবে রাজ্যপালরা আচরণ করে চলেছেন, তাতে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নষ্ট হচ্ছে। এই দাবিতে সরকারকে চেপে ধরতে চলেছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, এই ইস্যুতে বেশ কিছু বিরোধী দলের সহযোগিতা পাবে তারা। বিশেষ করে দেশজুড়ে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, তাতে এই ইস্যুতেই বিরোধীরা একজোট হবে বলে কংগ্রেসের অন্দরে বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: Weather Forecast | আকাশ মেঘলা, রবির ছুটিতে ভিজবে কলকাতা, সঙ্গী প্যাচপ্যাচে গরম
জয়রাম রমেশ বলেন, মণিপুরে দুমাসের বেশি ধরে আগুন জ্বলছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুঁ শব্দটি করেননি। আমরা চাই তিনি তাঁর নীরবতা ভঙ্গ করুন। একইসঙ্গে তিনি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগ দাবি করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য সফরে কিছুই লাভ হয়নি। অশান্তি থামেনি। রমেশ বলেন, রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টিও বৈঠকে উঠেছে। যেহেতু বিষয়টি এখন আদালতের দরজায় তাই তাঁদের ন্যায়বিচারের উপর আস্থা আছে। কংগ্রেস আশা করে, বাদল অধিবেশনে সম্ভবত রাহুল উপস্থিত থাকতে পারবেন।
বন্দে ভারত উদ্বোধনের ঢক্কানিনাদ না বাজিয়ে রেল যাত্রায় সুরক্ষা দিতে সরকারকে চাপ দেবে কংগ্রেস, জানান রমেশ। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে রমেশ বলেন, গত ১৫ জুন দল তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। ফলে গত ১৫ দিনের মধ্যে যেহেতু নতুন কিছু ঘটেনি তাই আর কিছু বলার নেই এ ব্যাপারে। এছাড়াও মহিলা কুস্তিগিরদের সমস্যা, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সংসদের নতুন ভবনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না করা, আদানি কেলেঙ্কারিতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন নিয়ে দাবি তুলবে কংগ্রেস।