ভুবনেশ্বর: লাসোর রেল দুর্ঘটনায় (Rail Accident) হতাহতের (Death) সংখ্যা নিয়ে রাত পর্যন্ত নানা বিভ্রান্তি চলে। দক্ষিণ পূর্ব রেল এই সংখ্যা সঠিক কত, তা না জানাতে পারায় বিভ্রান্তি (Confusion) বাড়ছে। কেউ বলছে, মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জনের, কেউ বলছে আরও বেশি। বিদেশি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ৩০০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ধ্বংস স্তূপ থেকে। আরও অন্তত ৭০০ যাত্রী আটকে রয়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে দ্রুতগতিতে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থেকে শুরু করে ওড়িশা, বাংলার বিপর্যয় বাহিনীও চলে গিয়েছে।
রেলের একটি সূত্র বলছে হতাহতদের মধ্যে এই রাজ্যের (Westbengal) মানুষের সংখ্যাই বেশি। এদিকে এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানা বিতর্ক। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ কেন দায় স্বীকার করে ইস্তফা দেবেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ১৯৫৬ সালে আরিয়ালুর রেল দুর্ঘটনার পর তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর পদত্যাগের প্রসঙ্গও চলে আসছে সামনে। তাঁর ইস্তফাপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ১৯৯৯ সালে গাইসাল দুর্ঘটনার দায় মাথায় নিয়ে তখনকার রেলমন্ত্রী নীতীশ কুমার পদত্যাগ করেছিলেন। তারপর গত ২৩ বছরে রেলের প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে। তবু কেন দুর্ঘটনা ঘটছে, সেই প্ৰশ্ন তুলছেন অনেকে। রেলওয়ে সেফটি কমিশনার ইতিমধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
বিরোধীরা বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তো এখন সব জায়গায় বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধন করে বেড়াচ্ছেন। তিনিও দায় এড়াতে পারেন না। মোদি, অমিত শাহ, রেলমন্ত্রী থেকে শুরু করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমেরিকা থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পর্যন্ত সকলে টুইটে সমবেদনা জানিয়েছেন। গাইসালের পর এত বড় দুর্ঘটনা এই প্রথম ঘটল বলে অনেকে মনে করছেন।