কলকাতা: মনোনয়নের (Nomination) শেষ দিনেও রাজ্য জুড়ে হিংসা অব্যাহত রইল। রক্ত ঝরল, মৃত্যর ঘটনাও ঘটল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে যাওয়ার পথেই হাড়োয়ায় তাঁদের গাড়িতে পড়ল ইট, ভাঙা হল গাড়ির কাচ। ফলে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ওই বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন পেশ করতে পারলেন না।
এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ ছিল, ওই প্রার্থীরা যাতে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে মনোনয়ন পেশ করতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিসে, পুলিশকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। এদিন অনেক প্রার্থী মনোনয়নের দাবিতে হাইকোর্টে হাজিরা দেন। বিচারপতি বলেন, এখনই হাইকোর্টে উপস্থিত সব প্রার্থীকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় পৌঁছতে হবে। বাকি প্রার্থীরা এলাকার থানা বা কোথাও এসপি অফিসে এখনই হাজির হবেন। তাদের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এদিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির ইনচার্জ কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তারা ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে থানা থেকে পুলিশ প্রোডাকশন নিয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন পেশ করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সে সময় আচমকাই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা করে। গাড়িতে ভাঙচুর চালায়, কয়েকজন প্রার্থীকে মারধরও করা হয়। পরে তিনি হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিনই বিচারপতি মান্থার নির্দেশে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে ৮৭ জন আইএসএফ প্রার্থীকে পুলিশ পাহারায় বিডিও অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় মনোনয়ন পেশ করার জন্য। কিন্তু বিডিও অফিস থেকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, সময় পেরিয়ে যাওয়ায় মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়’টা নাগাদ ফের তাঁদের জানানো হয়, মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে। আইএসএফ নেতা কর্মীরা জানান, মনোনয়ন পেশ না করে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন না।