কলকাতা: শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন। এদিন রাত সওয়া ৮টা নাগাদ কমিশনের দফতর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajib Sinha) জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ পঞ্চায়েত ভোটে সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী করানোর নির্দেশ দেয়। বেঞ্চ বলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশন কিংবা রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাতে হবে। সেই নির্দেশ মতো অবশ্য শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় রয়েছে।
এদিকে এদিন কমিশন জানিয়েছে, গত সাত দিনের মনোনয়ন পর্বে রাজ্যে আহত হয়েছেন ১০০ জন। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ৪৯টি। জামি্নঅযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ জনকে। আটক করা হয়েছে ২ হাজার ৮০০ জনকে। তবে মনোনয়নের দিন থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, তার কোনও উল্লেখ কমিশনের তরফে উল্লেখ করা হয়নি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশ যে রিপোর্ট কমিশনকে দেয় তাতেও মৃত্যুর কোনও অথ্য ছিল না।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee| Bhangar |ভাঙড়ের অশান্তি গুন্ডারা করেছে, নাম না করে আইএসএফকে খোঁচা
অন্যদিকে যে চোপড়ায় বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিনে ধুন্ধুমার ঘটল সেখানে তৃণমূল সব আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পেশ করতে যাওয়ার সময় বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চলে। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। তাতে ১০ জন জখম হন। বিরোধীরা শেষ দিনে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। ২১৭টির মধ্যে ২১৬টিতেই জিতে গিয়েছে তৃণমূল। দলের জেলা সহ সভাপতি অরিন্দম সরকারের দাবি, বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পায়নি। বিরোধীদের পাল্টা দাবি, শাসকদলের সন্ত্রাসের কারণে মনোনয়ন দেওয়া যায়নি।