বাঁকুড়া: দিনমজুর পরিবারের কলেজছাত্রীকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করে চমক সিপিএমের (CPM)। বাঁকুড়া (Bankura) জেলা পরিষদের (Zilla Parishad) ৩৬ নং আসনের সিপিএম প্রার্থী অনামিকা বাউরি। রাজ্য জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতি ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে এই বামপন্থী তরুণীকে। ভোটের প্রচারে অনামিকার প্রধান হাতিয়ার তৃণমূল (TMC) জমানার বেরোজগারি এবং নিয়োগ দুর্নীতি। দলীয় কর্মীদের নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিচ্ছেন অনামিকা।
বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের খামারবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর একুশের অনামিকা। ওন্দা মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। দিনমজুর পরিবারের সন্তান অনামিকা ছোটবেলা থেকেই বাড়ির অন্যদের লাল ঝান্ডা নিয়ে লড়াই করতে দেখেছেন। ছোটবেলায় কিছু না বুঝেই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বামেদের মিছিলে হাঁটতেন তিনি। সিপিএম এবার তাঁকেই জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাগলের মতো পরিশ্রম করছেন অনামিকা। কখনও কখনও বাবার বাইকে চেপেই তিনি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছেন, আবার কখনও দলীয় কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। অনামিকার দাবি, প্রচারে বেশ ভালো সাড়াই মিলছে।
প্রচারের ফাঁকেই কথা হচ্ছিল অনামিকার সঙ্গে। তিনি বলেন, গরিব মানুষের পাশে থাকার জন্য আমি প্রার্থী হয়েছি। তৃণমূল রাজ্যটাকে নরকের পথে নিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চায়েতে চাল চুরি, কেরোসিন চুরি সবই চলছে অবাধে। তার থেকেও বড় কথা, টাকার বিনিময়ে চাকরিও চুরি হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল শাসনে। অনামিকা আরও বলেন, শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা এই রাজ্যে চাকরি পাচ্ছে না। তাই অনেকেই পেটের টানে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। গ্রামে বহু মানুষ পানীয় জলের থেকে বঞ্চিত। জেলা পরিষদে জিতলে এই সব সমস্যার সুরাহা করতে চাই। জেলা পরিষদে প্রার্থী হলেন কেন জানতে চাইলে অনামিকা বলেন, একজন শিক্ষিত তরুণী হিসেবে আমি বেকারির যন্ত্রণা বুঝতে পারছি। তাই দল থেকে যখন প্রার্থী হতে বলা হল, তখন রাজি হয়ে যাই। প্রসঙ্গত, সিপিএম এবার সব জেলাতেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে প্রচুর নতুন মুখ এনেছে, যাঁদের গড় বয়স ২০ থেকে ২৭এর মধ্যে।