কলকাতা: ভ্যাকসিন চেয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে ভ্যাকসিনের আকাল তৈরি হয়েছে৷ নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন বাংলায় পাঠানো হোক৷ টিকা চেয়ে এর আগেও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু কোনওবার সাড়া পাননি৷ তবে এবার এমন সময় তিনি কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন যখন তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে দুর্গাপুজো পর্যন্ত করোনাবিধি নিষেধ জারি রাখার কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, টিকাই যদি না আসে তাহলে তৃতীয় ঢেউ সামাল দেওয়া মুশকিল হবে৷ তাই আকাল দূর করতে ঠিকমতো টিকা সরবরাহ করুক কেন্দ্র৷
আরও পড়ুন: দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ, তাই শুনে লাইনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রথম ডোজের গ্রহীতাদের
একই কথা চিঠিতে লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি লিখেছেন, দেশের মধ্যে বাংলাই প্রথম যে কেন্দ্রের কাছে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি করেছিল৷ দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্র কোনও উত্তর করেনি৷ যার জেরে দেশে ভ্যাকসিন দেশের বহু মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছয়নি৷ ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা প্রথম কেন্দ্রকে জানাই উৎপাদক সংস্থার কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনতে দেওয়া হোক৷ তখনও কোনও সাড়া পাইনি৷ দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণে আমরা সবাই যখন বিধ্বস্ত ছিলাম তখনও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সংক্রমণ রুখতে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়নি৷ যার ফলে আজও বহু মানুষ দুর্ভোগের শিকার৷
আরও পড়ুন: প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের কেন দেওয়া হয়নি ক্ষতিপূরণ রাজ্য সরকারের কাছে প্রশ্ন আদালতের
রাজ্যে এখন প্রতিদিন চার লক্ষ ডোজ দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু মমতার দাবি অনুযায়ী, ১১ লক্ষ মানুষকে দৈনিক টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো রাজ্যের আছে৷ তিনি লেখেন, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি কেন্দ্রীয় সরকার বড় পরিমাণ ভ্যাকসিন উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, গুজরাতের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যে পাঠাচ্ছে৷ আমার তাতে কোনও আপত্তি নেই৷ শুধু তারা কেন অন্য রাজ্য টিকা পাক৷ কিন্তু বাংলা বঞ্চিত হলে আমি আর চুপ করে বসে থাকতে পারি না৷ সমস্ত মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে বাংলায় ১৪ কোটি টিকা প্রয়োজন৷ কিন্তু ২.৬৮ কোটি ভ্যাকসিন পেয়েছি কেন্দ্রের কাছ থেকে৷ আপনি হয়তো জানেন যে বাংলার সীমানায় যে সমস্ত রাজ্য রয়েছে সেখানে সংক্রমণ বাড়ছে৷ বাংলায় তিনটে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে৷ তাই আপনার কাছে আবেদন যাতে বাংলা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন দ্রুত পায়৷