কলকাতা: আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (West Assembly Election)। তার আগে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। ধর্মীয় বিভাজন করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যে সঙ্ঘের উপর স্তর থেকে নির্দেশ এসেছে রাজ্যে হিন্দু ভোট বাড়াতে হবে। তারই মধ্যে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রীতির বার্তা দিলেন। মহাবীরের বাণী জিও অউর জিনে দো তুলে ধরে একতা বজায় রাখতে বললেন। তিনি বললেন, গুলি করলেও আমাকে সর্ব ধর্ম নিয়ে চলা থেকে আটকাতে পারবে না। আমি সব জায়গায় যাই। এটাই ঐক্য। রাজনৈতিক প্ররোচনায় কেউ পা দেবেন না। ভাববেন না। দিদি আছে। আপনারা নিশ্চিত থাকুন। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জৈনদের একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সমস্ত ধর্মীয় জায়গায় আমি রেল যোগাযোগ ব্যাবস্থা করেছি। আগামী ১৪ এপ্রিল কালীঘাটে স্কাইওয়াকের উদ্বোধন। মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে বলেন, সংখ্যালঘুদের বলি আপনাদের ওয়াকফ পপার্টি নিয়ে ক্ষোভ আছে। কিন্তু নিশ্চিত থাকুন বাংলায় কোনও অসুবিধা হবে না।
এদিন মমতা বলেন, জৈন সমাজের পরম্পরা বর্ধমান থেকে শুরু হয়েছে। জিও আর জিনে দো। এটাই মহাবীরজির মন্ত্র ছিল। যা কিছু মঙ্গলময় আপনাদের হোক। এখানে সবাই আছে। এটাই আমাদের হিন্দুস্তান। সবার ভাষা,খাবার আলাদা হলেও আমরা সব মানি। আমাদের এখানকার সব ধর্মের সব মানুষ ও স়ংস্কৃতি আমাদের প্রেরণা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি প্রোমোটারের হাত থেকে বাঁচিয়ে বেলুড় মঠকে দিয়েছি। আমার উদ্যেশ্য বাটনা নেহি। এক থাকলে দেশের উন্নতি। কারও সম্পত্তি নিয়ে নেওয়ার নয়। এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। সংখ্যালঘুরাও সমস্ত অনুষ্ঠানে থাকে। তিনি বলেন, যতদিন বাঁচব যাবো। জীবন ছোট। সবাইকে নিয়ে ভালোবাসা দিয়ে একসঙ্গে থাকি। সবাইকে বার্তা দিন। একতার বার্তা। যাঁরা সবাইকে ভালোবাসেন তাঁরাই মানুষ। কেউ পাপ করলে, মাফ চাইলে মাফ করে দেন। প্রত্যেকের এই লক্ষ্য ও শিক্ষা নিয়ে চলতে হয়। অনেক জিনিস আমরা করেছি।
আরও পড়ুন: বন্ধ ইন্টারনেট,মিটিং-মিছিল, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা,জঙ্গিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়া প্রশাসন
মমতা আরও জানিয়েছেন, ১০ এপ্রিল মহাবীর জয়ন্তীতে রাজ্যের ছুটি। কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ শে ডিসেম্বর ছুটি কেটে দিয়েছে। কিন্তূ রাজ্যে থাকবে। ভরসা রাখুন দিদি পাশে আছে। যা কিছু মঙ্গলময় আপনাদের হোক।