রাঁচি: ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে ‘মহানাট্যমেলা’র যবনিকা পতন হল। দমবন্ধ করা টি ২০ ম্যাচে সোমবার বিধানসভায় ৪৭-২৯ ভোটে আস্থায় জিতে গেলেন বর্ষীয়ান জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন। সোমবার আস্থা ভোটে হেমন্ত সোরেনের বদলি মুখ্যমন্ত্রী ভোটে জয়লাভ করেন।
গত এক সপ্তাহের টানাপড়েনের পর সোমবার ঘটল সরকার বাঁচানোর পালার পর্দা-পতন। এদিন বিধানসভায় নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেন। সেই লক্ষ্যে গতকাল, রবিবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের ডেরা হায়দরাবাদের রিসর্ট থেকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি জোটের বিধায়করা রাঁচিতে এসে পৌঁছে গিয়েছেন। সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ইডির হেফাজতে থাকা জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেনও বিধানসভায় আস্থা ভোটে যোগ দিতে আসেন। সব মিলিয়ে হাড়কাঁপানো শীতের রাজধানীতে বসন্তের ফুল জেএমএম জোটের কপালেই ফুটল।
আরও পড়ুন: H.S. এর প্রশ্নপত্রে এবার ইউনিক সিরিয়াল নম্বর
সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের বিষয়ে জেএমএম পুরোপুরি বিশ্বাসী থাকলেও বিজেপি নেতৃত্ব বলে চলে, খেল আভি বাকি হ্যায়। যদিও সেটা অস্তিত্ব রক্ষার দাবি বলে মনে করা হয়। কারণ, ৮১ সদস্যবিশিষ্ট বিধানসভায় চম্পাই সোরেনের দাবি ছিল ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন আছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটে রয়েছেন ২৯ জন। বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, চম্পাইয়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে যাঁদের আপত্তি ছিল, তাঁরা আজ সভায় আসবেন না। জেএমএমের বিধায়ক মিথিলেশ ঠাকুর গতকাল রাঁচিতে ফিরে বলেন, কিছু বিজেপি বিধায়কও মহাগাঁটবন্ধনকে সমর্থন করবেন।
অন্য খবর দেখুন