ভাঙড়: চোপড়ার পর ভাঙড়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিনে হরির লুটের মতো গুলি-বোমা চলল ভাঙড়ে। আইএসএফের দাবি, তৃণমূলের গুলিতে তাদের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসার পর গুলিবিদ্ধ প্রার্থী। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও কয়েকজন। গুলিতে ভাঙড় ২ বিডিও অফিসের সামনে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। পুলিশের সামনেই শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবৃষ্টি করে। একের পর এক গুলি চালায়। তাদের তাণ্ডবের বেগ খানিকটা কমে আসার পর পুলিশ তৎপর হয়ে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বাজার এলাকা হওয়ায় বেশ কয়েকটি সবজিবাহী গাড়ি সেখানে ছিল। তিনটি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘণ্টা কয়েক ধরে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
এদিন দুপুরে বিজয়গঞ্জ বাজারের মাঠ এলাকার কার্যত দখল নিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। সকালে তৃণমূলের ‘তাজা ছেলে’ আরাবুল ইসলাম বিডিও অফিসে এসে বিরোধীদের আটকানোর চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি তখন থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে। আইএসএফসহ বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে না পারায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। অভিযোগ, তারপরই শাসকদলের ভৈরববাহিনী কার্যত এলাকার দখল নেয়। মনোনয়ন জমার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অনেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।