কলকাতা: নীল বাতি গাড়ি পাকড়াও অভিযানের পর, এবার নজর ‘পুলিশ’ স্টিকার সাঁটানো গাড়ি। শহরে প্রচুর ভুয়ো পুলিশ স্টিকার সাঁটানো গাড়ি ঘুরছে। এছাড়াও সিভিক ভলেন্টিয়াররা নিজেদের গাড়িতে পুলিশ স্টিকার লাগাতে পারেন না। অথচ প্রায়শয়ই দেখা যায় তাঁরা নিজেদের গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে ঘোরেন। তাই প্রতিটি ট্রাফিক গার্ডকে অ্যালার্ট করা হল নীল বাতির সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ স্টিকার সাঁটানো গাড়িগুলোর ওপরেও চালাতে হবে বিশেষ নজরদারি। নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র।
বুধবার সকালে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার কালীবাড়ি ব্রিজে পুলিশ স্টিকার মারা টাটা সুমো গাড়ি ধাক্কা মারে এক বাইকে। এরপর একটি ৪ চাকা গাড়িকে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারায়। সোজা পাশে থাকা এক মন্দিরে গিয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনায় আহত হয় দু’জন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। ওই গাড়িচালককে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, কলকাতা পুলিশে কর্মরত তাঁর মালিক। তবে, কলকাতা পুলিশের কোন পদে আছেন সঠিক ভাবে জানাতে পারেনি দীপক শর্মা নামে ওই চালক।
আরও পড়ুন- বীরভূমে গ্রেফতার ভুয়ো মহিলা আইপিএস অফিসার
গোটা ঘটনা কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নজরে আসতেই তড়িঘড়ি ডিসি ট্রাফিক অরিজিৎ সিনহাকে সঙ্গে নিয়ে বাঁশদ্রোণী থানায় পৌঁছায় সিপি সৌমেন মিত্র এবং সেখানে আসতে বলা হয় ডিসি এসএসডি রশিদ মুনির খানকে।
বাজারে ভুয়ো পুলিশের রমরমা। তাই সেই গাড়ি আদপেও কোন পুলিশ কর্মীর কিনা তা জানতে তিনি নিজেই পৌঁছান বাঁশদ্রোণী থানায়। তদন্তে নেমে জানা যায় ওই গাড়ির সত্যিই কোন পুলিশ কর্মীর নয়। এক সিভিক ভলেন্টিয়ার এর গাড়ি। তাঁর নাম দেবাশীষ ভট্টাচার্য্যের। গ্রেফতার করা হয় গাড়ি চালক দীপক শর্মাকে।
আরও পড়ুন- বেআইনি কয়লাকাণ্ডে লালার বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ দায়ের হাইকোর্টে
আইনত সিভিক ভলেন্টিয়ার গাড়িতে পুলিশ স্টিকার লাগাতে পারে না। এক্ষেত্রে দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য কতদিন তাঁর গাড়িতে এই পুলিশ স্টিকার লাগিয়েছিলেন এবং কেন লাগিয়েছিলেন সেই পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখা হবে।