নন্দীগ্রাম: শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikary) দেখে চোর চোর স্লোগান কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) নেতৃত্বে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের। যে ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। ঘটনাস্থল নন্দীগ্রাম (Nandigram)। বৃহস্পতিবার বিকেলের ঘটনা। এদিন ছিল এবারের পঞ্চায়েতে ভোট প্রচারের শেষ দিন। ফলে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। নন্দীগ্রামে শেষ বেলার প্রচার (Campaign) করছিল তৃণমূল। নন্দীগ্রাম বাজার মোড়ে প্রচার সভা চলছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়। সেসময়ই তৃণমূলের পক্ষ থেকে আচমকা চোর চোর স্লোগান দিতে দেখা যায়। যার ফলে পরিবেশ বদলে যায়। দলীয় প্রচার থেকে তৃণমূল (TMC) বনাম বিজেপির (BJP) উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়।
উপস্থিত তৃণমূলের নেতা কর্মীরা শুভেন্দুকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিতে শুরু করে। স্লোগানে বলা হয়, চোর চোর চোরটা শিশিরবাবুর ছেলেটা। সেসময় কনভয়ের মাঝখানে ছিল শুভেন্দুর গাড়ি। যে ঘটনায় বিরক্ত হতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা কনভয়ের গাড়িটিকে তাড়াতাড়ি এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শুভেন্দুকে দেখা যায় মুখ বাড়িয়ে জানলার পাশে বসে বিরক্তিসূচক কিছু বলতে দেখা যায়। চোখে মুখে রাগের ছাপ ছিল স্পষ্ট। সেসময় শুভেন্দু গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে কিছু বলেন। বোঝা যায় বিরক্ত হয়েই তিনি কিছু বললেন। দেখে মনে হচ্ছিল যেন তিনি কোনও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। তবে তিনি কী বলেছেন তা স্পষ্ট বোঝা যায়নি।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | তমলুকে তৃণমূল থেকে ফের বহিষ্কার দলের নেতা কর্মী
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে কিছুক্ষণ পরে শুভেন্দু চলে যেতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। তারপর শুভেন্দুও আর কিছু বলেননি ওই ঘটনা নিয়ে। বা কনভয় থামাননি। অন্যদিকে কুণালের মুখে মৃদু হাসি দেখা যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, ঘটনাস্থল যেহেতু নন্দীগ্রাম তাই এর গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে। কারণ নন্দীগ্রাম তৃণমূলের উত্থানের জায়গায়। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের শেষ দিনে সেই নন্দীগ্রামে শুভেন্দু বনাম কুণালের সম্মুখ সমর তাতপর্যপূর্ণ হয়ে উঠল।