বেজিং: পৃথিবীর বুক ফুঁড়ে কুয়ো খুঁড়ছে চীন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কূপ খনন করছে চীনের সরকার। ১০ হাজার মিটার বা ৩২ হাজার ৮০৮ ফুটের এই গর্ত পৃথিবীর ভূত্বক পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। কিন্তু, হঠাৎ এমন পাগলা দাশুর মতো কাজ কেন করছে চীন? চীনের বিজ্ঞানীদের এহেন কাজে চমক লেগেছে গোটা বিশ্বেরই। এই গ্রহের উপরে এবং নীচে নতুন দিগন্ত খুলতে যাওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনী দেশ চীনের এই কর্মকাণ্ড ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানে নতুন আলোর দিশারী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, দেশের খনিজ তেল সমৃদ্ধ জিনজিয়াং অঞ্চলে গভীরতম কূপ খননের কাজ শুরু হয়েছে। তার আগে সকালেই চীন গোবি মরুভূমি থেকে প্রথম অসামরিক নভশ্চর পাঠিয়েছে মহাকাশে। তারপর এই গভীরতম কূপ খননের কথা সামনে আসে।
সংকীর্ণ-মুখের এই কূপ খননের কাজ মোটেও খুব একটা সহজ কাজ নয়। সুগভীর এই গর্ত ১০টি কন্টিনেন্টাল স্ট্রাটা বা প্রস্তর-স্তর ফুঁড়ে পৃথিবীর পিঠ পর্যন্ত যাবে। ক্রিটেসিয়াস যুগ বা আনুমানিক সাড়ে ১৪ কোটি বছর আগের প্রস্তর স্তরে পৌঁছতে চাইছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: Yamraj Temple | এই মন্দিরে মৃতেরাই দর্শনার্থী! জানুন সেই বিস্ময়কর তথ্য
জিনহুয়াকে চীনের আকাদেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিজ্ঞানী সান জিনশেং জানান, দুটি ইস্পাতের সুতোর উপর দিয়ে একটি বিরাট ট্রাক নিয়ে যাওয়ার মতোই দুরূহ এই খনন কাজ। এই খননকাজের ফলে খনিজ এবং তেলের অনুসন্ধান করা সম্ভব হবে। এছাড়াও প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেমন ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা ত্বরান্বিত হবে। উল্লেখ্য, বিশ্বে গভীরতম কূপটি খোঁড়া হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। মানুষের খোঁড়া ওই কূপটি তৈরি করেছিল রাশিয়া। কোলা সুপারডিপ বোরহোল নামে তার অস্তিত্ব এখনও আছে। ১২ হাজার ২৬২ মিটার বা ৪০ হাজার ২৩০ ফুট গভীর কূপটি খনন করতে সময় লেগেছিল ২০ বছর।