কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: চীনের যুদ্ধজাহাজ ও বোমারু বিমান তাইওয়ানের আকাশ ও জলসীমা লঙ্ঘন করেছে। শুক্রবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, অন্তত ১০টি যুদ্ধজাহাজ এবং ২০টি বায়ুসেনার বিমান তাইওয়ান প্রণালীর জলসীমায় ঢুকেছিল। এই ঘটনাকে মারাত্মক উসকানিমূলক বলেও ব্যাখ্যা করেছে তাইপে। মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর থেকেই তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। যার কড়া নিন্দার করেছে আমেরিকা, জাপান এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব ব্লিঙ্কেন এই ঘটনাকে উত্তেজনার পারদ চড়ছে বলে বর্ণনা করেছেন।
এই যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, চীনের মহড়ার কারণে তারাও যুদ্ধবিমান তৈরি রেখেছে। বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগর এলাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে। এখান থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হবে। এছাড়াও ভূমি থেকে নিক্ষেপের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে তাইওয়ান।
আরও পড়ুন: RBI Hikes Repo Rate: ফের রেপো রেট বাড়াল আরবিআই, বাড়তে চলেছে ইএমআই?
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা চীনকে সতর্ক করলেন। অবিলম্বে তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া বন্ধ রাখার কথা বললেন কিশিদা। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক মহড়া চলাকালীন চীন তাইওয়ানের মাথার উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে। কয়েক দশকের মধ্যে চীন এতবড় সামরিক মহড়া চালায়নি। তার মধ্যে এবারেই প্রথম তারা কোনও দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল। জাপানের অভিযোগ, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির মহড়ায় চারটি ক্ষেপণাস্ত্র তাইওয়ানের আকাশের উপর দিয়ে গিয়েছে। চীনের পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে চারটি জাপানের বাণিজ্যিক সমুদ্র বন্দরের কাছাকাছি এসে পড়েছে।
মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরপরই দক্ষিণ এশীয় এলাকায় যুদ্ধের একটা আবহ তৈরি করেছে চীন। তাদের প্রস্তাবিত সমর মহড়া চলছে তাইওয়ানের আশপাশে। ক্ষমতা প্রদর্শনের এই ছায়াযুদ্ধে চীনা ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের সমুদ্র বন্দর এলাকার কাছাকাছি এসে পড়েছে। তারপরই জাপান এ বিষয়ে বেজিংকে সতর্ক করে দিল।
শুক্রবার জাপ প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেছেন, চীনের এই আচরণে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সুস্থিতি, শান্তির বাতাবরণ নষ্ট করছে। যার ফল ভালো হবে না। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়বে বলে তিনি দাবি করেন। একইসঙ্গে চীনকে প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে কিশিদা জানিয়ে দিয়েছেন, এরকম চলতে থাকলে তিনি আমেরিকা সঙ্গে কথা বলবেন। চীনা মহড়া নিয়ে জাপান ও আমেরিকা যৌথভাবে কৌশল তৈরি করবে।