কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা চীনকে সতর্ক করলেন। অবিলম্বে তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া বন্ধ রাখার কথা বললেন কিশিদা। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক মহড়া চলাকালীন চীন তাইওয়ানের মাথার উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে। কয়েক দশকের মধ্যে চীন এতবড় সামরিক মহড়া চালায়নি। তার মধ্যে এবারেই প্রথম তারা কোনও দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল। জাপানের অভিযোগ, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির মহড়ায় চারটি ক্ষেপণাস্ত্র তাইওয়ানের আকাশের উপর দিয়ে গিয়েছে। চীনের পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে চারটি জাপানের বাণিজ্যিক সমুদ্র বন্দরের কাছাকাছি এসে পড়েছে।
মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরপরই দক্ষিণ এশীয় এলাকায় যুদ্ধের একটা আবহ তৈরি করেছে চীন। তাদের প্রস্তাবিত সমর মহড়া চলছে তাইওয়ানের আশপাশে। ক্ষমতা প্রদর্শনের এই ছায়াযুদ্ধে চীনা ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের সমুদ্র বন্দর এলাকার কাছাকাছি এসে পড়েছে। তারপরই জাপান এ বিষয়ে বেজিংকে সতর্ক করে দিল।
শুক্রবার জাপ প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেছেন, চীনের এই আচরণে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সুস্থিতি, শান্তির বাতাবরণ নষ্ট করছে। যার ফল ভালো হবে না। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়বে বলে তিনি দাবি করেন। একইসঙ্গে চীনকে প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে কিশিদা জানিয়ে দিয়েছেন, এরকম চলতে থাকলে তিনি আমেরিকা সঙ্গে কথা বলবেন। চীনা মহড়া নিয়ে জাপান ও আমেরিকা যৌথভাবে কৌশল তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: Monkeypox: লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত, মাঙ্কিপক্স সংক্রমণকে ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি’ অবস্থা ঘোষণা বাইডেনের
মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও এদিন বলেন, চীন যতই ভয় দেখাক না কেন, আমেরিকা তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। শুক্রবার জাপ প্রধানমন্ত্রী কিশিদার সঙ্গে দেখাও করেন পেলোসি। প্রাতঃরাশের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তাইওয়ানকে গোটা বিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার চীনা প্রয়াস আমরা রুখব। তিনি এও বলেন, তাঁর তাইওয়ান সফরকে ঘিরে চীনের হম্বিতম্বি আসলে একটা ছুতো। তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন দেশ বলে উল্লেখ করে পেলোসি আরও বলেন, চীন এটাকে তাদের সম্পত্তি বলে অধিকার দাবি করছে।
চীনা মহড়ার ফলে এই এলাকার বাণিজ্যিক ও সমুদ্রপথে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে তাইওয়ানের কাছাকাছি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ যেমন ছিল, তেমনই আপাতত রেখে দেওয়া হবে।