বেজিং: চীনে (China) ভয়াবহ বন্যা (Flood)। ভেঙে পড়ল (Collpased) আস্ত বাড়ি (House)। মৃত (Death) অন্তত ১৫। নিখোঁজ ৪ জন। হাজার হাজার মানুষকে আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। চংগিঙ (Chongqing) এলাকায় সব থেকে বেশি বন্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার থেকে এই বন্যা চলছে। দক্ষিণ চীনের বাওলং শহরে বন্যা হচ্ছে। ১০০-র বেশি বাসিন্দাকে সেখানে স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। চীনে অন্তত সাতটি নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) ঘটনায় দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতে সবরকম ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন চীনে আরও বড় দুর্যোগ আসতে চলেছে এই মাসেই। প্রবল বৃষ্টিতে চংগিঙ ও সোয়েথশ বিপর্যস্ত (Swathes)। সেতু ভেঙে পড়েছে। অনেক সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এই নিয়ে অনেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিম চংগিঙে একটি আস্ত বাড়ি ভেঙে পড়েছে। একটি রেল সেতু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর সেটি ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্রীয় হুনান প্রদেশে (Hunan province) ১০ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে এখনও পর্যন্ত ৮০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। বন্যার সতর্কতা অন্যান্য প্রদেশেও রয়েছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে লিয়াওনিং (Liaoning), জিলিন (Jilin), হেইলংজিয়াঙ (Heilongjiang) রাজ্য।
আরও পড়ুন: Octopus Nursery | Costa Rica | কোস্টারিকার অতল সমুদ্রে মিলল বিরল প্রজাতির অক্টোপাসের ঝাঁক
তবে এরই মধ্যে দেখা গিয়েছে পর্যটকরা হুয়াগুওশু জলপ্রপাত দেখতে ভিড় জমিয়েছেন। আনশুন, গুইঝাউ রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। চীনের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন, এই মাসে আরও অনেক দুর্যোগের সাক্ষী হতে পারে চীন। তার মধ্যে বন্যা, ঝড়, উষ্ণতা (High temperatures) রয়েছে। ইতিমধ্যে চীনে ২০০০ সালের পর থেকে সব চেয়ে বেশি গরম ছিল এবারের জুন মাসে। প্রায় ১৪ দিন ধরে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। জলস্তর বাড়ায় একাধিক রাজ্যে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২১ সালে হেনান প্রদেশের রাজধানী ঝেংঝাউকে (Zhengzhou) কাবু করেছিল। রাস্তাগুলিকে নদী করে দিয়েছিল। সেই সময় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ভয়ানক বন্যা চীনে হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। যখন ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ইয়াঙ্গতজে নদীর বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল। চীনে বর্তমানে বিশ্বের সব থেকে বেশি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়। বিষ্ণ উষ্ণায়নের জন্য যা অন্যতম দায়ী। ২০২৩ সালে তা আরও উচ্চতায় পৌঁছতে পারে।