কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) হিংসা নিয়ে ফের বিরোধীদের নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটা ক্ষেত্রেই অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। কিছু নেতিবাচক ব্যক্তি তাই নিয়েই হইচই শুরু করেছে। এদিনও তিনি দাবি করেন, ৭১ হাজার বুথের মধ্যে মাত্র ৩ জায়গায় গোলমাল হয়েছে। সেখানেও বিরোধীরাই গোলমাল পাকিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সভায় বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের দিন এবং তার আগে ও পরে ২৯ জন মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে সিপিএমের ৩ জন, বিজেপির ৩ জন খুন হয়েছেন। নিহত ১৮ জনই আমাদের লোক। তাহলে তো বলতে হয় তৃণমূলের লোকই তৃণমূলকে মেরেছে। এটা হয় নাকি? তিনি আরও বলেন, আমরা দল না দেখে সবক্ষেত্রেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। সব মৃতের পরিবার পিছু একজনকে হোমগার্ডের চাকরিও দেওয়া হয়েছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের দিনেই ৩৯ জন মারা গিয়েছিল। সিপিএমের অবশ্য মমতা ব্যানার্জির প্রতি চিরদিনই অ্যালার্জি। বিজেপি বাবুদের বলছি, সেইসব হিসেবকে একটু দয়া করে দেখুন।
আরও পড়ুন:21 July | “চেয়ার চাই না, বিজেপি হারুক চাই”, ইন্ডিয়া জোট নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার
মমতা বলেন, পঞ্চায়েত ভোটটা একেবারে নিচু স্তরে হয়। অনেক সময় এক বাড়িরই চারজন বিভিন্ন দলের হয়ে দাঁড়ায়। পরিবারের মধ্যেও তা নিয়ে গোলমাল হয়। অন্য অনেক রাজ্যে পঞ্চায়েতে রাজনৈতিকভাবে লড়াই হয় না। কিন্তু আমাদের এখানে রাজনৈতিক পঞ্চায়েত ভোট হয়। আমরা তো এই আইন করিনি। এটা সিপিএম করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনা ঘটেছে ভাঙর, ডোমকল এবং ইসলামপুরে। কোচবিহারেও দুএকটি ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি তো সব কিছুতেই হিংসা দেখে। ২০২১ সাল থেকে ওরা বাংলার বদনাম করে চলেছে। এখানে কাক ডাকলেও বিজেপি কেন্দ্রীয় টিম পাঠায়। আর মণিপুর, উত্তরপ্রদেশে এতসব ঘটনা ঘটছে। সেখানে তো কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয় না।