মালবাজার: আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে লোকসভার ভোট হবে বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে এক নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আয়ু আর ছয় মাস। লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হঠাবই। কেন ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ভোট হবে, তার কোনও ব্যাখ্যা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী দেননি। মাসখানেক আগে নবান্নে বসে মমতা বলেছিলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কেন্দ্রের সরকার পড়ে যেতে পারে। মিরাকল কিছু হলেও হতে পারে।
সোমবার দিনহাটার নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দিল্লিতে আমরা মহাজোট করবই। তবে বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি মহাঘোঁট করেছে। সেই ঘোঁট আমি ভেঙে দেব। এদিনও মালবাজারের সভায় মমতা ফের বলেন, দিল্লিতে মহাজোট হবেই। একই সঙ্গে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির সমালোচনা করতে ছাড়েননি তিনি।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | Dinhata |’দিনহাটার গুলিকাণ্ডে অ্যাকশন নিচ্ছি’, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির মহাবৈঠকে লোকসভা ভোটে একজোট হয়ে লড়াইয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। বিরোধী নেতারা জানিয়েছিলেন, জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট হলেও রাজ্য স্তরে কী হবে, তা নিয়ে পরে কথা হবে। তৃণমূল নেত্রী মমতা সহ অনেক আঞ্চলিক দলের নেতার প্রস্তাব, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেখানে সেই দলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে। সেই প্রস্তাব মানতে হলে কংগ্রেসের মতো বড় দলকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। মমতা আগেই শুনিয়ে রেখেছেন, কিছু পেতে হলে কংগ্রেসকে কিছু ছাড়তেও হবে। পাটনা বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও সকলকেই উদার মনোভাব দেখাতে হবে।
পাটনা বৈঠকের পরই কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় তৃণমূল আর বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চলবেই। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রে বিজেপির মতো রাজ্যে তৃণমূলও গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সোমবার পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, বাংলায় তৃণমূলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না। দুজনেই বলেন, এই রাজ্যে তৃণমূলের জন্যই বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার মালবাজাররে সভায় মমতা বলেন, মোদি আজ আছেন, কাল নেই। বাংলায় তৃণমূল ছাড়া আর কে আছে। তৃণমূল না থাকলে কে দেবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কে দেবে কন্যাশ্রী, কে দেবে রূপশ্রী, কে দেবে স্বাস্থ্যসাথী। আগের দিনে দিনহাটার মতো এদিন মালবাজারের সভাতেও মমতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, উনি কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমেরিকা, রাশিয়ায় যাচ্ছেন। আর দেশে টম্যাটোর দাম ১২০ টাকা কেজি হয়ে গিয়েছে। আমজনতার কথা ভাবার সময় কোথায় মোদির।