কলকাতা: যাদবপুর কাণ্ডে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত মনতোষের ফোন থেকে উদ্ধার চ্যাট। পুলিশ সূত্রে দাবি, সেখানে ধৃত সৌরভ মনতোষকে লিখেছে, পুলিশ জিজ্ঞাসা করলে বলবি সৌরভ এখানে থাকে না। মাঝে মধ্য়ে আসে। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের জেরা করার জন্য পুলিশি হেফাজতে চেয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী। সেই আবেদন মেনে মনোতোষ ঘোষকে ২৫ অগাস্ট এবং সৌরভ, দীপশেখর দত্তকে ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে যাদবপুর কাণ্ডে এবার স্ক্যানারে অরিত্র মজুমদার। সূত্রের খবর, ১১ অগাস্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্য়াটেন্ডেন্স রেজিস্ট্রারে সই করেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু। কিন্তু মঙ্গলবার ওই ছাত্রনেতাই তাঁর ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, তিনি ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ১০ অগাস্ট কাশ্মীরে ছিলেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বুধবার অরিত্রকে সাড়ে ১১টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি তলব করেছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর নিয়ে বিধানসভায় শাসক-বিরোধী চাপানউতোর
এদিন অরিত্র ফেসবুক পোস্টে লেখেন, তদন্তে সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ঘটনার পরের দিন ১০ তারিখে কাশ্মীরে ছিল সে। মিডিয়া এবং বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন তার নামে মিথ্যা প্রচার করছে। যে কোন রকম তদন্তের সামনে দাঁড়াতে সে প্রস্তুত। কলকাতায় ফিরছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। যাদবপুর কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে অরিত্র মজুমদারের (Aritra Majumdar)। অরিত্র জানিয়েছেন, সে কাশ্মীরে ট্রেকিংয়ে (Trekking Kashmir) গিয়েছিলেন।
প্রাক্তন ওই ছাত্রনেতার দাবি, চার মাস আগে থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট এবং দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী বিমানের টিকিট কাটা ছিল তাঁর। ফেসবুকে টিকিটগুলির ছবি প্রকাশ করেছেন। তাঁর আরও দাবি, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কোনও ভাবে তিনি যুক্ত নন। ঘটনার দিন তিনি হস্টেলে যাননি। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত বলেও ফেসবুকে লিখেছেন। তদন্ত প্রমাণ হবে যে সেই রাতে হস্টেলে তাঁর সে যাননি। গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ১০ অগাস্ট বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় হস্টেলের প্রাক্তনী এবং বর্তমান আবাসিকদের একাংশের বিরুদ্ধে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দফায় দফায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অরিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক। ঘটনার ১৩ দিন পর নিজেই মুখ খুললেন।