কলকাতা: দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা বাংলার (Bengal) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সকালের আর্দ্র পিচে সৌরাষ্ট্রের (Saurashtra) অন্তত গোটা চারেক উইকেট তুলে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েলরা সেই কাজে অর্ধেক সফল। ৫০ রান করে সেট হয়ে যাওয়া হার্ভিক দেশাইকে ফেরালেন মুকেশ। নাইট ওয়াচম্যান চেতন সাকারিয়াকে ফেরালেন ঈশান। ১১৭ রানে চার উইকেট চলে গিয়েছিল সৌরাষ্ট্রের। কিন্তু সেখান থেকে সামলে নিয়েছেন শেলডন জ্যাকসন এবং অর্পিত বাসভরা। লাঞ্চে যাওয়ার সময় তাঁদের রান ছিল ১৪৮। এই মুহূর্তে বাংলার থেকে মাত্র ৫ রানে পিছিয়ে তারা।
পাঁচদিনের ম্যাচ, এখনও খেলার অনেক কিছু বাকি ঠিকই, কিন্তু প্রথম ইনিংসের লিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। বাংলার থেকে ৫০ রান বেশি করলেই মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবে সৌরাষ্ট্র। সেখানে লিড ছাড়াতে পারে ১০০-রও বেশি।
আরও পড়ুন: Ranji Trophy Final: ইডেনের দুঃসহ সকাল ন’টা
টসে হেরে যাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম দিন সকালে পিচে যে ভেজা ভাব ছিল দ্বিতীয় দিনের সকালে তা অনেকটাই কম। প্রথমদিনের পিচের গাঢ় রং দ্বিতীয় দিনে সাদাটে হয়ে এসেছে। খেলা যত গড়াবে তত পাটা হবে উইকেট। তাছাড়া সৌরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানরা অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খেলছেন। বাংলার ব্যাটসম্যানদের মতো অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেননি। বরং সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন বাংলার বোলাররা। তাঁদের হাতেই বাংলার সম্মান।
ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) সবুজ উইকেট বানিয়ে সৌরাষ্ট্রকে (Saurasthra) পেস বোলিং অস্ত্রে নাস্তানাবুদ করার পরিকল্পনা ছিল বাংলা শিবিরের। কিন্তু পুরোটাই হয়ে গেল বুমেরাং। টসে জিতে বল নেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট (Jaydev Unadkat)। প্রসঙ্গত, ৩৩ বছর আগে রঞ্জি ট্রফি জিতেছিল বাংলা। এরপর ফাইনালে উঠলেও খেতাব অধরাই রয়ে যায়। ২০১৯-২০ মরশুমে এই সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলার। এবার লক্ষ্য ছিল সেই ম্যাচের বদলার। কিন্তু শুরুতেই এমন ধাক্কা খেতে হবে কেউ ভাবেনি। তবে সবুজ উইকেট বানালে এমন হওয়া অস্বাভাবিক নয়।