উৎসবের মরশুম শেষ। এরপরেই সকলের পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট। আর ভোটকে কেন্দ্র করেই বিরোধী দলগুলির আগেই মাটি কামড়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়া কর্মসূচি নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নয়া এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘চলো গ্রামে যাই।’ মূলত মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস এই নয়া কর্মসূচি গ্রহণ করছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি। প্রায় আড়াই মাস ধরে চলবে এই কর্মসূচি। প্রথমে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে এই কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে নয়া এই কর্মসূচিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে গ্রাম ও পঞ্চায়েতকে। প্রতিটি জেলায় ও বুথে বুথে হবে পঞ্চায়েতস্তরে সভা। সেই সভায় উপস্থিত থাকবে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই সমস্ত সভার পর বুথভিত্তিক রিপোর্ট জমা পড়বে। কর্মসূচির শেষে রাজ্যস্তরে রিপোর্ট জমা পড়বে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে।
চলো গ্রামে যাই-এর মধ্য দিয়ে দলের শীর্ষ নেত্রী চাইছেন, পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামীণ মহিলা ও তরুণী-যুবতীদের ভোটকে তৃণমূলের বাক্সে কেন্দ্রীভূত করতে। কারণ, গ্রামীণ মহিলাদের ভোটকে এক জায়গায় করতে পারলেই বিরোধীদের তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে। বিশেষ করে মমতার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এ রাজ্যের মহিলারা বিশেষ উপকৃত। তাই সেসব প্রকল্পের সুবিধার কথা আরও বেশি করে তুলে ধরা হবে এই প্রচারে।
এছাড়াও গ্রামের মানুষের ক্ষোভ রয়েছে যে, কলকাতার নেতৃত্ব ভোটপাখি হয়ে উড়ে আসে নির্বাচনের সময়। সেই ক্ষোভে মলম লাগাতে তাই এবার আগেভাগেই গ্রামে গিয়ে সেখানকার সুখদুঃখের কথা জানার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। শুধু তাই নয়, গ্রাম ঘুরে এসে দলের প্রতি সাধারণ মানুষের মনোভাব জানাতে হবে শীর্ষ নেতৃত্বকে। রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে বুথস্তরে সভা করব। সেখানকার মানুষের কথা শুনব। রাজ্যের উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলির কথা তাদের কাছে তুলে ধরব। এইভাবে আমরা দলনেত্রীর নির্দেশে শুধু ভোট নয়, সর্বদা তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেব।