নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার লোকসভায় (Lok Sabha) পেশ করা হল বিতর্কিত জাতীয় দিল্লি অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ (Delhi Amendment Bill 2023)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই (Nityanand Rai) এদিন বিলটি পেশ করেন। তঁর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, দিল্লি সম্পর্কে যে কোনও আইন আনার ক্ষমতা সংসদকে দিয়েছে ভারতের সংবিধান। সুপ্রিম কোর্টেরও এ ব্যাপারে স্পষ্ট রায় রয়েছে। বিরোধীরা অবশ্য এই বিল পেশের বিরোধিতা করে বলে, এই বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো পরিপন্থী। এই বিষয নিয়ে ইতিমধ্যে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের বিচারাধীন। এই আবহেইএদিন বিলটি লোকসভায় পেশ করা নিয়ে বিরোধী মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
দিল্লির আমলাদের রদবদলের ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আইনি লড়াই চলছিল দিল্লির আপ সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে। কয়েক মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, আমলাদের বদলির ক্ষমতা দিল্লির নির্বাচিত সরকারের হাতেই থাকবে। তবে ভুমি, পুলিশ, এবং আইন সংক্রান্ত যাবতীয় ক্ষমতা থাকবে দিল্লির উপরাজ্যপালের হাতে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরেও আমলাদের বদলির ক্ষেত্রে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাকে চ্যালেঞ্জ করে ফের শীর্ষ আদালতে যায় দিল্লির আপ সরকার। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। আমলাদের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে এরপর কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স জারি করে।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | নরেন্দ্র মোদি ২০২৪-এ ক্ষমতায় ফিরবে? রাজনৈতিক হাওয়া কী বলছে?
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে বিরোধী দলগুলির কাছে অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে এক হওয়ার আবেদন জানান। বিজেপি বিরোধী সব দলই কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেয়। তবে এ ব্যাপারে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের তীব্র আপত্তি রয়েছে। তারা এখনও এই ইস্যুতে কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়াতে রাজি নয়। তবে জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় কংগ্রেস দিল্লির নেতাদের আপত্তির সত্ত্বেও ওই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করছে।
তবে বিরোধীদের চাপে বিলে কিছু ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। অর্ডিন্যান্সের তুলনায় বিলের খসড়ায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। রাখা হয়েছে শুধুমাত্র ভারতীয় সংবিধানের ২৩৯এএ অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গ। নয়া বিলের খসড়ায় জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিস অথরিটি র বার্ষিক প্রতিবেদন সংসদ এবং দিল্লি বিধানসভায় পেশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলেও সরকারি সূত্রের খবর। জানানো হয়েছে, দিল্লিরমন্ত্রীরা আমলাদের উদ্দেশে যে যে নির্দেশিকা পাঠাবেন লেফউপরাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর আগে তা কেন্দ্রকে পাঠাতে হবে।